রবিবর, ১০ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৫:০৮ am
নিজস্ব প্রতিবেদক : কেন্দ্রের নির্দেশনা না থাকলেও রাজশাহীর বাগমারায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বিএনপির ১৩ নেতা। তাঁরা এরই মধ্যে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। গণসংযোগও চালিয়ে যাচ্ছেন কেউ কেউ।
এসব নেতারা বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্তটা স্থানীয়ভাবে নেয়া। কারণ, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন চলছে। তারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন মূলত নেতা-কর্মীদের সক্রিয় করতে, যা খালেদার মুক্তি দাবির আন্দোলনেও কাজে লাগবে।
আগামী ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। প্রার্থীদের মধ্যে আছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোশারফ হোসেন। তিনি নরদাশ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মনিরুজ্জামান গণিপুর ইউনিয়নে নির্বাচন করছেন।
এ ছাড়া হামিরকুৎসায় রাশেদুল হক, বেলাল হোসেন, আউচপাড়ায় ডি এম সাফিকুর রহমান, শুভডাঙ্গায় আবু সামা, মোশারফ হোসেন, গোবিন্দপাড়ায় শাহানারা বেগম, শ্রীপুরে আনিছার রহমান, পারভেজ চৌধুরী, বড়বিহানালীতে মাহমুদুর রহমান, সোনাডাঙ্গায় মাজাফ্ফর হোসেন ও ঝিকড়ায় আশরাফুল ইসলাম চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন। তাঁরা সবাই ইউনিয়ন বিএনপির বিভিন্ন পদে আছেন।
উপজেলা বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা বলেন, দলীয়ভাবে বিএনপির নেতারা সবশেষ যখন নির্বাচনে অংশ নেন, তখন প্রচারণা ও ভোট প্রদানে বাধাসহ হামলা চালানো হয়। এ কারণে কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচন বর্জন করা হয়। তবে এবারের ইউপি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে এমন আশায় বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী স্থানীয় সিদ্ধান্তে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোশারফ হোসেন বলেন, বিএনপি রাজনীতির মাঠে অনেকটাই নিষ্ক্রিয়। খালেদা জিয়ার মুক্তির যে আন্দোলন তাতে অংশ নিতে নেতা-কর্মীদের চাঙা করবে নির্বাচনের একটি ভালো ফল। এ কারণে তিনি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। একই রকম কথা বলেন উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাক।
উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বলেন, বিএনপির নেতারা নিজেদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে শান্তিপূর্ণ ভোট চলাকালে জাতীয় ও পৌরসভা নির্বাচন বর্জন করেন। অথচ তাঁদের কখনো বাধা দেওয়া হয়নি। আজকের তানোর