শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:৪৮ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, মোহনপুর : মোহনপুর উপজেলায় রয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ শতাধিক ঔষধ ফার্মেসী। তবে ব্যপক পরিমাণ ঔষধ ক্রয় বিক্রয় হলেও নেই ঔষধ প্রশাসনের নীতিমালার আলোকে গড়ে তোলা পর্যাপ্ত সংক্ষক ফার্মেসী। ইচ্ছে মতই যত্রতত্র এধরণের গড়ে ওঠা ফার্মেসীর কারণে ভোগান্তির শিকার সর্বসাধারণ।
অভিযোগ উঠেছে এধরণের ভুঁইফোড় ফার্মেসীর নেই ট্রেড লাইসেন্স ও ড্রাগ লাইসেন্স। ভ্রাম্যমাণ আদলত পরিচালিত হলেই মিলে এসবের অববৈধতার প্রমাণ। আদালতের নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতি বুঝলেই ৯৫ শতাংশ ফার্মেসীই বন্ধ করে পালিয়ে যায় ঔষধ ব্যবসায়িরা। প্রশাসনকে ফাকি দিয়ে ফার্মেসীর পাশাপাশি মুদি দোকানেও বিক্রয় করা হয় বিভিন্ন ধরণের নেশাজাত ও যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট। এছাড়াও রয়েছে ফ্রি সেম্পুলসহ মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ। সন্ধার পর যৌন উত্তেজক ঔষধ বিক্রিতে জমে উঠে সকল হারবাল ঔষধলায়। ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্বার্থক অভিযানেও সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে জিরো ট্্রলারেন্সনীতি কার্যক্রম সফলতা অর্জনে অনেকটায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এজন্য কেশরহাটসহ উপজেলার সকল ফার্মেসীতে নিয়মিত অভিযান পচিালনা অব্যাহত রাখার দাবী এলাকাবাসীর।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনুমোদন বিহীন ঔষধ বিক্রয় কেন্দ্্ের চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র না ছাড়াই ব্যথা নাশক ট্যাবলেট, চেতনা নাশক ট্যাবলেট ও চেতনা নাশক ট্যাবলেট বিক্রির কারণে শিক্ষার্থীসহ সকল শ্রেণির মানুষরা আসক্ত হচ্ছে বলে সচেতন মহলের দাবী।এছাড়াও যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট সেবনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অসংখ্য মানুষ। দোকানে ঔষধের মুল্য টাঙানো হয়না। দেয়া হয় না বিক্রিত ঔষধের ভাউউচার। মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষদ বিক্রি করলেও চাপে পড়লে নিতে চায়না তারা দায়ভার। কেশরহাটে অবস্থিত স্নৃতি ফার্মেসীর ব্যবস্থাপক নিরঞ্জন কুমার জানান, বাজারে সরবরাহকৃত কিছু ঔষধ মাদক সেবিবা নেশার জন্য সেবন করে। বর্তমানে এ জাতীয় ট্যাবলেট, সিরাপ কেশরহাটে কম বিক্রি হয়। শহরাঞ্চলে বেশি পাওয়া যায়। তবে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটগুলো বাজারে সরবরাহ আছে।
জানতে চাইলে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আরিফুল কবির বলেন, মানুষ যদি ঔষধকে মাদক হিসেবে সেবন করে তা দুর্ভাগ্য ছাড়া কিছুই নয়। তবে ক্ষতিকর ঔষধ বন্ধে সরকারী পদক্ষেপ কার্যকর রয়েছে।
মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, মাদক বিরোধী নিয়মিত অভিযানের ফলে মাদক সেবিদের অবাদ বিচরণ অনেকটায় কমে এসেছে। বাজারে বিক্রিত নেশাজাত ট্যাবলেট বিক্রির কারণে পুলিশ প্রশাসনের অভিযান বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।
নিজস্ব এক্সপার্ট না থাকার জন্য এসব সনাক্ত করাও সমস্যা। তবে যে প্রক্রিয়াই মাদক সেবন করুক তা প্রতিরোধে পুলিশ তৎপর আছে। মাদকের বিকল্প ড্রাগ সেবন বন্ধেও প্রশাসনিক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার মো. সানওয়ার হোসেন বলেন এধরণের ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নিয়োমিত অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। আগামীতেও অভিযান অব্যাহত থাকবে। আজকের তানোর