রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:৩৬ am
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইংল্যান্ডের ডার্বিশায়ারের বাসিন্দা ব্রায়ান উইনস্লোকে হার মানাতে পারেনি বয়স। ৮৪ বছর বয়সে তিনি রীতিমতো এক তরুণ। নিয়মিত যাচ্ছেন জিমে, করছেন ভারোত্তোলন।
তরুণ বয়সেও অনেকে যেখানে আলসেমির দাপটে শরীরচর্চা থেকে ‘নিরাপদ দূরত্ব’ বজায় রাখেন, উইনস্লো সেখানে প্রতি সপ্তাহে ছয়দিন জিমে যান, শরীরচর্চা করেন।
বয়সকে তিনি স্রেফ একটা সংখ্যা বলে মনে করেন। আগামী বছর তিনি ইংল্যান্ডে বয়োবৃদ্ধদের এক ভারোত্তোলন প্রতিযোগিতাতেও অংশ নিচ্ছেন।
উইনস্লো বলেন, ভারোত্তোলন তার কাছে এক ধরনের বাধ্যবাধকতা; যা এক ধরনের নেশার মতো।
উইনস্লো যে বৃদ্ধ বয়সে এসে এই ভারত্তোলন শুরু করেছেন বিষয়টি মোটেও সেরকম নয়। তিনি আসলে সারাজীবনই ভারোত্তোলন করছেন।
ব্যক্তিজীবনে ভীষণ পারিবারিক উইনস্লোর কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তার ছেলেমেয়ে আর নাতি-নাতনি। এছাড়া ক্ল্যাসিক্যাল মিউজিকও তার খুব প্রিয়।
উইনস্লো সপ্তাহে ছয়দিন জিমে যান এবং প্রতিদিন দুই ঘণ্টা বা তিন ঘণ্টা করে শরীরচর্চা করেন তিনি। তারা ভাষায়, এটা ছাড়া তার চলে না। দক্ষিণ ডেভনে ডেকচেয়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করার সময় ভারত্তোলনের বিষয়ে আগ্রহ তৈরি হয় তার।
তিনি বলেন, আমি পরখ করে দেখতাম মোট ক’টি ডেকচেয়ার ছয় ফুট উচ্চতায় আমি একসাথে তুলতে পারি। তখন আমার বয়স ২০-এর কোঠায়। হয়তো আমি আগের মতোই আছি। কে বলতে পারে? আমি জানি না।
উইনস্লো জাতীয় ভারোত্তোলন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। আগামী বছর ৮০ ঊর্ধ্ব প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে তিনি কোয়ালিফাই করেছেন। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে লড়বেন এমন লোক খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন হবে। তবে কেউ হয়তো আমার বিরুদ্ধে লড়ে আমাকে হারাতেও পারে। হয়তো কোনো ৮৬ বছরের শক্তিশালী পুরুষ। কী হয় কেউ জানে না।
উইনস্লো যে জিমে নিয়মিত যান সেই জিমের মালিক অ্যালেক্স বারওয়েল বলেন, তিনি এই জিমের প্রাণ পুরুষ। তিনি পায়ে হেঁটে বাস স্টেশনে যান এবং এখানে আসেন। সবার জন্য তিনি অনুপ্রেরণা। আসলে কী জানেন? উইনস্লো এখানে এলে অন্য কারো না আসার কোনো কারণ থাকে না।
বিবিসির সাংবাদিক তার কাছে জানতে চান বয়স বাড়ার কী তাৎপর্য রয়েছে তার কাছে? এটা বিশেষ কোনো অর্থ বহন করে কি না? জবাবে তিনি বলেন, না, কোনো তাৎপর্য নেই। আমি জেন বৌদ্ধধর্মে বিশ্বাসী। আমি মৃত্যুতে বিশ্বাস করি না।
কখনও ভারোত্তোলন ছেড়ে দেওয়ার কথা ভেবেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, মোটেও না। সূত্র : বিবিসি।