রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:২৭ pm
বিনোদন ডেস্ক : ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে পরীমনির দুই ছবি ‘বিশ্বসুন্দরী’ ও ‘স্ফুলিঙ্গ’। আইন–আদালতের ঝামেলা মাথায় নিয়েও এরই মধ্যে কাজে ফিরেছেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার তাঁর নতুন কাজসহ ব্যক্তিগত বিষয়েও প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন ঢাকাই ছবির এই নায়িকা।
প্রেক্ষাগৃহ থেকে এবার ওটিটিতেও আপনার সিনেমা। কেমন লাগছে?
‘বিশ্বসুন্দরী’ ও ‘স্ফুলিঙ্গ’ অ্যাপসে মুক্তি পেয়েছে। শিল্পী হিসেবে চাইব আমার কাজ সব শ্রেণির দর্শকের কাছে পৌঁছাক। সিনেমা হিট, ব্যবসাসফল কিংবা দর্শকপ্রিয়তা এক জিনিস।
কিন্তু আমার কাছে শিল্পী হিসেবে অঙ্ক হলো—যে মাধ্যম দিয়েই হোক, প্রতিটি দর্শক যেন সিনেমাটি দেখার সুযোগ পান।ভালো কাজ থেকে যেন তাঁরা বঞ্চিত না হন।
‘বিশ্বসুন্দরী’ মায়েদের গল্প। কিন্তু সংসার সামলানো বা অন্য নানা কারণে সিনেমা হলে গিয়ে অনেক মা-ই ছবিটি দেখার সুযোগ পাননি। এখন অ্যাপসে মুক্তি পাওয়ার কারণে মায়েরা ঘরে বসেই ছবিটি দেখার সুযোগ পাবেন।
‘গুনিন’ সিনেমার কাজ শেষ করলেন। কেমন হলো?
‘স্বপ্নজাল’–এর মতো আমার আরেকটি স্বপ্নের কাজ। কাজটি করে কেমন লেগেছে, এখনই বলব না, শুধু এটুকুই বলি, সম্প্রতি বাস্তব জীবনে পরীমনির নতুন জন্ম হয়েছে। ‘গুনিন’ করার মধ্য দিয়ে সিনেমার পর্দায়ও দর্শকের চোখে আবার নতুন জন্ম হবে পরীর।
ছবির নায়ক শরীফুল রাজের সঙ্গে প্রথম কাজ। অভিজ্ঞতা কেমন?
প্রথম বা শেষ বলে কিছু নেই। দুজন একসঙ্গে কাজ করেছি এবং ভালো কাজ করেছি। বলতে পারেন পর্দায় দুজনের রসায়ন জমে গেছে। এটাই বড় কথা।কিন্তু ঢালিউডে রটেছে, বাস্তবেও আপনাদের দুজনের রসায়ন বেশ জমেছে।
শিল্পীর বাইরে আমি একজন প্রেমিকাও। আমি প্রকৃতির প্রেমে পড়ি, লেখার প্রেমে পড়ি, কাজের প্রেমে পড়ি, সিনেমার প্রেমে পড়ি। আমি তো প্রেম ছাড়া বাঁচতেই পারি না। প্রেম আমার অক্সিজেন।
তবে বাস্তবে রাজের সঙ্গে রসায়ন জমে ওঠার ব্যাপারে নো কমেন্টস। এতটুকুই বলি, ‘গুনিন’-এ আমি রাবেয়া, রাজ হলো রমিজ।
ইদানীং মনে হচ্ছে আপনি রয়েসয়ে কাজ করছেন…
হ্যাঁ, অনেকটা তাই। আমাকে তো আর সিনেমা থেকে কেউ বের করে দেননি বা প্রজেক্ট থেকে বাদও দেননি। গত কয়েক মাস আমার বিষয়টি তো আপনারা নিজেরাই দেখেছেন।
শিল্পীর বাইরে এখন আমি একজন আসামি এবং একজন বাদীও। এখন আমাকে মাসের কিছু সময় আদালতেও যেতে হচ্ছে, লড়তে হচ্ছে।
সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে আমার জীবনটা এখন অনেকটা সাপলুডুর কোর্ট হয়ে গেছে। কোর্টের সিঁড়ি বেয়ে উঠছি, সাপের কামড়ে নিচে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আবারও উঠছি।
কষ্ট যা–ই হোক, আমার একমাত্র লক্ষ্য ন্যায়বিচার। তবে ঝামেলা কাটিয়ে সুন্দরভাবে নিজেকে গুছিয়ে আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কাজের শিডিউলটাও পরিকল্পনা করে সাজাচ্ছি।
নতুন কাজের খবর কী?
আজ বৃহস্পতিবার রাশিদ পলাশের ‘প্রীতিলতা’ ছবির টিম চট্টগ্রামে রওনা হবে। ওখানে ছবির পরের ধাপের কাজ শুরু হবে। সঙ্গে আমারও যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমি যাচ্ছি না।
তিন-চার দিন পরে যাব। ঢাকাতে বসেই এই ধাপের শুটিংয়ের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি। এই মুহূর্তে আমি পারলারে, প্রীতিলতা চরিত্রের জন্য চুল কাটতে এসেছি।
এ ছাড়া সামনে অরণ্য আনোয়ারের ‘মা’ সিনেমা ও চয়নিকা চৌধুরীর ‘অন্তরালে’ নামে একটি ওয়েব ফিল্মের শিডিউল দেওয়া আছে। আজকের তানোর