শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৬:৫১ pm
ডেস্ক রির্পোট : রাজধানীর রামপুরায় বাসচাপায় এসএসসির ফলপ্রত্যাশী মাইনুদ্দিন ইসলামের নিহত হওয়ার ঘটনার বিচার চেয়ে মানববন্ধন ও সড়কে বিক্ষোভ আজকের (মঙ্গলবার) মতো শেষ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার (০১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় আবার রাস্তায় নামার ঘোষণা দিয়ে রামপুরার রাস্তা ছেড়েছেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীদের পক্ষে ঘোষণা দেন খিলগাঁও মডেল কলেজের শিক্ষার্থী সোহাগী সামিয়া।
এদিন নিরাপদ সড়ক, সারাদেশে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ পাস ও গণপরিবহনের নারী শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি বন্ধের দাবি জানান তিনি। এছাড়া বুধবার তাদের বিস্তারিত কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও সামিয়া জানান। তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে। নিরাপদ সড়কের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমাদের এ যৌক্তিক আন্দোলন আরও দীর্ঘায়িত করতে আজকের মতো আমরা আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করছি।
সোহাগী সামিয়া বলেন, আগামীকাল (বুধবার) আমরা আরও বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী একসঙ্গে হয়ে আন্দোলন করব। আজ যারা এসেছি, তারা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে আরও বেশি শিক্ষার্থী নিয়ে আগামীকাল সকাল ১১টা থেকে রামপুরা ব্রিজের ওপর অবস্থান করবেন।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে রামপুরা এলাকায় প্রগতি সরণি অবরোধ করেন স্থানীয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ কারণে এ সড়ক দিয়ে যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এসময় শিক্ষার্থীরা গাড়ির চালকদের লাইসেন্স ও কাগজপত্র যাচাই–বাছাই করছেন। সকাল ১১টার দিকে শিক্ষার্থীদের কাগজ যাচাই–বাছাইয়ের সময় রাস্তায় বিআরটিসির একটি বাস ফেলে পালিয়ে গেছেন চালক ও তার সহকারী।
আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, আন্দোলনের কারণে কোনো রোগী ও পরীক্ষার্থীর যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, সে জন্য জরুরি লেন করে কিছু গাড়ি ছেড়ে দিচ্ছি। সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রামপুরায় রাস্তা পার হওয়ার সময় দুটি বাসের প্রতিযোগিতায় চাপা পড়ে নিহত হন এসএসসি ফলপ্রার্থী মাইনুদ্দিন। মাইনুদ্দিন নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন ওই রাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে কয়েকটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন এবং এলাকাবাসী সড়ক অবরোধ করে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। আজকের তানোর