রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:৪৮ am
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাজধানীর খার্তুমে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে স্বাক্ষরিত ১৪ শর্তের ওই রাজনৈতিক চুক্তিতে হামদককে প্রধানমন্ত্রী পদে পুনর্বহালের অঙ্গীকার ছিল।
অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলে নেওয়া সুদানের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত বেসামরিক সরকারের রাজনৈতিক চুক্তি স্বাক্ষরের পর একসঙ্গে পদত্যাগ করেছেন দেশটির ১২ মন্ত্রী। ওই চুক্তির পর প্রধানমন্ত্রীর পদে ফেরা আব্দাল্লা হামদকের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তারা।
আন্তর্জাতিক মহল এ চুক্তিকে সাধুবাদ জানালেও বিষয়টি নিয়ে খুশি নয় দেশটির গণতন্ত্রপন্থীরা। তারা এ চুক্তিকে অভ্যুত্থানের বৈধতা দেওয়ার প্রচেষ্টা বলে মনে করছেন। তাদের দাবি, সেনাবাহিনী যেন কোনোভাবে ভবিষ্যতে কোনো সরকারের অংশ হতে না পারে।
যে মন্ত্রীরা পদত্যাগ করেছেন তারা হামদক নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে ছিলেন, অক্টোবরের ২৫ তারিখে ওই সরকার ভেঙে দেন আল-বুরহান। সুদানের সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের নেতৃত্বে এই ক্ষমতা দখলের পর থেকেই দেশটির হাজার হাজার নাগরিক প্রায় প্রতিদিনই বিক্ষোভ করে আসছিলেন। এতে প্রায় ৪১ জনের মৃত্যু হয়।
পদত্যাগ করা মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন- দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী, উচ্চশিক্ষামন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, তরুণ ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী।
দীর্ঘদিন সুদানের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকা ওমর আল-বশিরকে ক্ষমতাচ্যূত করা হয় ২০১৯ সালে। এরপর সামরিক ও বেসামরিকদের সমন্বয়ে অন্তর্বর্তীকালীন একটি সরকার গঠিত হয়।
গত মাসে অভ্যুত্থানের পর গৃহবন্দি করা হয় হামদককে। তবে চুক্তি স্বাক্ষরের পর হামদক আল-জাজিরাকে দেওয়া একটি সাক্ষাতকারে বলেছেন, তার কাঁধে যে দায়িত্ব রয়েছে সেই দায়িত্ববোধ থেকেই তিনি এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। সূত্র : যুগান্তর