শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১১:৩৯ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক, মোহনপুর : রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার মৌগাছি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকায় ভোট না দিলে কেন্দ্রে যেতে বারণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আল-আমিন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল হোসেন খাঁন।
অভিযোগ পেয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা নৌকার প্রার্থীকে শোকজ করেছেন। আল-আমিন বিশ্বাস মৌগাছি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান। আর আবুল হোসেন খাঁন সাবেক চেয়ারম্যান।
আবুল হোসেন খাঁন আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহী নিউমার্কেটের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি গত ১৯ নভেম্বর বেড়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত নৌকার প্রার্থীর নির্বাচনী সমাবেশের একটি ভিডিও ফুটেজ দেখান। ফুটেজে দেখা যায়, আল-আমিন বিশ্বাস বলছেন-‘বিএনপি ভোটে নাই। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে।
বিএনপির যেখানে অংশগ্রহণ নাই, সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কোন দাম আছে? তাই আমি বিএনপির ভাইদের বলতে চাই-যদি নৌকায় ভোট দিতে কষ্ট হয়, মাঠে আসবেন না। আসার দরকার নাই। আওয়ামী লীগ সরকার জানে, এমপি আয়েন উদ্দিন জানে ভোট কীভাবে করতে হয়।’
সংবাদ সম্মেলনে আবুল হোসেন খাঁন বলেন, ‘ভোট নিয়ে এ পর্যন্ত প্রশাসনের অবস্থান ভালো। কিন্তু নৌকার প্রার্থীর সমর্থকেরা তাঁর সমর্থকদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। প্রচার চালাতে দেওয়া হচ্ছে না।’
সংবাদ সম্মেলনে আবুল হোসেন অভিযোগ করেন, সবশেষ গতকাল রোববার তাঁর মেয়ে এবং পুত্রবধূ প্রচারণায় বের হলে তাঁদের বাড়ি ফিরতে বাধ্য করেছেন নৌকার প্রার্থীরা। আর ভোটারদের যেতে বারণ করার বিষয়ে তিনি জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আবুল হোসেন খাঁন সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট গ্রহণের আহ্বান জানান।
ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বারণ করার বিষয়ে জানতে চাইলে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আল-আমিন বিশ্বাস বলেন, ‘আমি আমার বক্তব্যের মধ্যে বলেছি, এই এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী হিসেবে যারা পরিচিত, তাঁরা যদি নৌকায় ভোট না দেন তাহলে তাঁদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার দরকার নেই। আমি আমার নেতা–কর্মীদের বলেছি।’
প্রচারণায় বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ভোটের পরিবেশ খুব সুন্দর।
মৌগাছি ইউপি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান তালুকদার জানান, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বারণ করার ভিডিও ফুটেজ তিনিও দেখেছেন। তাই নৌকার প্রার্থীকে তিনি শোকজ করেছেন। আজ সোমবার সকালেই নৌকার প্রার্থী শোকজের কপি নিয়ে গেছেন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। তাঁর লিখিত ব্যাখ্যা পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।