শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:৪২ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক, মোহনপুর : নির্বাচনী আচরণবিধি ভেঙে পবা-মোহনপুরের আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রচার চালানোর অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের এমপি আয়েন উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত পবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপনির্বাচনেও সাংসদ আয়েন আচরণবিধি ভেঙে সরাসরি নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর প্রচারে নেমেছিলেন। সে সময় পবার নওহাটা ও মোহনপুরের কেশরহাট পৌর নির্বাচনে তিনি নির্বাচনী সভায় যোগ দিয়েছিলেন।
২৮ নভেম্বর পবার ৮টি ও মোহনপুরের ৬টি মিলে মোট ১৪টি ইউনিয়নে নির্বাচন। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ইউনিয়নেই যাচ্ছেন সাংসদ আয়েন উদ্দিন। এতে উত্তপ্ত হচ্ছে নির্বাচনের মাঠ। কোণঠাসা করা হচ্ছে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীদের। গত মঙ্গলবার পবার বড়গাছিতে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকেরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করেন। এ নিয়ে অবশ্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করা হয়েছে।
পবা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম রাজু গত বুধবার রাতে কয়েকটি ছবি তাঁর ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন। এতে দেখা যায়, সাংসদ আয়েন উদ্দিন পবার দামকুড়া ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী রফিকুল ইসলামের নির্বাচনী সভায় যোগ দিয়েছেন। তিনি নেতা-কর্মীদের নিয়ে ভোটারদের হাতে নৌকার প্রার্থীর লিফলেটও তুলে দিয়েছেন। ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, নৌকার প্রার্থীর পক্ষে দামকুড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গণসংযোগ করেছেন সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আয়েন উদ্দিন।
পবার বড়গাছী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে ১০ নভেম্বর একটি বিশেষ বর্ধিত সভা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন সাংসদ আয়েন উদ্দিন। একই দিন ধুরইল ইউনিয়নে তিনি একটি স্মরণসভায় গিয়ে নৌকায় ভোট চান। আগের দিন ৯ নভেম্বর মোহনপুরের মৌগাছি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আল-আমিন বিশ্বাসকে সঙ্গে নিয়ে তিনি গণসংযোগ করেন। এর আগে ৭ নভেম্বর একই ইউনিয়নে সরাসরি একটি নির্বাচনী সভায় তিনি যোগ দেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মোহনপুরের রায়ঘাঁটি ইউপি নির্বাচন উপলক্ষে বড়াইল উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক নির্বাচনী সভায় তাঁর যোগ দেওয়ার কথা ছিল।
মোহনপুরের জাহানাবাদ ইউপি নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল লতিফ বলেন, ‘তিনি (সাংসদ আয়েন) প্রতিটি ইউনিয়নেই যাচ্ছেন। আইনের তোয়াক্কা না করেই নৌকার প্রচার চালাচ্ছেন।’
জানতে চাইলে সাংসদ আয়েন বলেন, ‘নৌকা ফেল করলে তো আপনারাই (সাংবাদিকেরা) বলবেন এমপির কারণে নৌকা ডুবেছে। তাই আমি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছি, এলাকায় যাচ্ছি। আমাকে দেখে লোকজন আসছে, তখন নৌকায় ভোট দিতে বলছি।’
রাজশাহীর জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, একজন এমপির এই প্রচারণায় অংশ নেওয়া নির্বাচনী আচরণবিধির মধ্যে পড়ে না। এ বিষয়ে কোনো প্রার্থী যদি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন, তাহলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আজকের তানোর