শুক্রবার, ২০ েপ্টেম্বর ২০২৪, সময় : ০২:৩৮ pm

সংবাদ শিরোনাম ::
দুদকের তালিকায় ১০০ ব্যক্তির সম্পদের পাহাড় গড়েছেন যারা আ.লীগ ১৪ দলীয় জোটের নেতা ও মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে ৭৫০ মামলা ঢাবিতে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিখোঁজের সাতবছর পর ছেলেকে ফিরে পেলেন উচ্ছ্বসিত মা তানোরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত রাসিকের সাবেক কাউন্সিলর মনসুরের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন সেই রুবেল আরও ৭ দিনের রিমান্ডে সিলেবাস সংক্ষিতের দাবিতে রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ শেষে সমাবেশ পবায় উপজেলা প্রশাসনে ও কাটাখালি পৌরসভায় ভোগান্তি চিত্র নায়িকা পরীমণি পালন করলেন ‘বিবাহ বিচ্ছেদ’ দিন এক দফা দাবিতে রাজশাহীতে নার্সদের মিছিল শেষে মানববন্ধন প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) বিশ্ববাসীর জন্য রহমত : দুধরচকী রাজশাহীতে শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ডলার সংকটে বাংলাদেশকে সার দিচ্ছে না সরবরাহকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের নাগরিক সংবর্ধনা বাতিল রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বিচারিক ক্ষমতা পেলো সেনাবাহিনী আন্দোলনের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করলেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ বাগমারায় অধ্যক্ষ ও সভাপতির অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টি গুজব : আসিফ মাহমুদ একদিনের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা রাজশাহী আসছেন আজ
রাজশাহীতে নদী দখলদারের তালিকায় ৬০১ জনের নাম

রাজশাহীতে নদী দখলদারের তালিকায় ৬০১ জনের নাম

ডেস্ক রির্পোট : রাজশাহীতে পদ্মা নদী ও বড়াল নদ এবং তীরবর্তী বাঁধ দখল করে নানা স্থাপনা গড়ে তুলেছেন ৬০১ জন। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এবং জেলার চারঘাট ও বাঘা উপজেলার সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) প্রতিবেদনে দখলকারীদের এই সংখ্যা উঠে এসেছে।

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে দখলকারীদের তালিকা চেয়েছিল। এরপর পাউবো ও দুই উপজেলার সহকারী কমিশনারদের কাছ থেকে তালিকা সংগ্রহ করে সম্প্রতি জেলা প্রশাসক তা নদী রক্ষা কমিশনে পাঠিয়েছেন।

জেলা প্রশাসক জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছেও তালিকা চেয়েছিলেন। তবে গোদাগাড়ীর সহকারী কমিশনার তাছমিনা খাতুন একটি চিঠি দিয়ে জেলা প্রশাসককে জানিয়েছেন, তাঁর উপজেলায় কোনো নদী দখলকারী নেই।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আসা তালিকায় দেখা গেছে, রাজশাহীর পাউবো দখলকারী হিসেবে ৫৮০ জনের নাম-ঠিকানা এবং স্থাপনার বিবরণ দিয়েছে। তাঁরা সবাই পদ্মা নদী এবং নদীতীরবর্তী বাঁধ দখল করে স্থাপনা গড়ে তুলেছেন। চারঘাট ভূমি অফিস ১৮ জন বড়াল নদ দখলকারীর তালিকা দিয়েছে। আর বাঘা ভূমি অফিস বড়াল নদ দখলকারী তিনজনের নামের তালিকা দিয়েছে। দুই উপজেলায় পদ্মা নদীর দখলদার নেই। মোট দখলকারীর সংখ্যা ৬০১ জন।তবে বাস্তবে তা আরও বেশি হবে।

জেলার পবা উপজেলার হরিপুর এলাকা থেকে নবগঙ্গা, হাড়পুর, নবীনগর, নগরীর কেশবপুর, বুলনপুর, শ্রীরামপুর, দরগাপাড়া, বাজে কাজলা, সাতবাড়িয়া হয়ে কাটাখালী পৌরসভার শ্যামপুর পর্যন্ত এলাকার দখলদারদের তালিকা দিয়েছে পাউবো।

এতে দেখা গেছে, হরিপুর এলাকায় ২৫ জন, নবগঙ্গা এলাকায় ৫২ জন, হাড়পুরে ৫১ জন, নবীনগরে ৩৪ জন, কেশবপুরে ১২ জন, বুলনপুরে ৪৫ জন, শ্রীরামপুরে ৩৭ জন, দরগাপাড়ায় ৩২ জন, বাজে কাজলায় ১৮৮ জন, সাতবাড়িয়ায় ৭৬ জন এবং শ্যামপুরে ১৬ জন নদী ও বাঁধ দখল করে স্থাপনা করেছেন।

স্থাপনার মধ্যে বেশির ভাগই আছে টিনের কিংবা সেমিপাকা বাড়ি, দোকান, সেলুন, রিকশা-অটোরিকশার গ্যারেজ, গোয়ালঘর ও ক্লাবঘর। কিছু আছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয় এবং নেতাদের ব্যক্তিগত কার্যালয়। তালিকার একেবারে শেষ নামটি কাটাখালী পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর আয়েশা আক্তারের কার্যালয়। এটি শ্যামপুর এলাকায় বাঁধের জমি দখল করে নির্মাণ করা।

পৌরসভার কোনো কাউন্সিলর কিংবা নারী কাউন্সিলরের কার্যালয় না থাকলেও আয়েশা আক্তার বানিয়েছেন। সম্প্রতি এক সকালে শ্যামপুরে গিয়ে কার্যালয়টি পাওয়া গেল। তবে সেটি তালাবদ্ধ। মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে নারী কাউন্সিলর আয়েশা আক্তার বলেন, ‘আমি আমার শখের জায়গা থেকে সম্পূর্ণ নিজের খরচে এটা করেছি। সন্ধ্যার পর দুই ঘণ্টা সেখানে বসে মানুষের সুখ-দুঃখের কথা শুনি। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলেছি, আপনারা চাওয়ামাত্র ভেঙে ফেলব।’

রাজশাহী নগরীর একপাশ দিয়েই বয়ে গেছে পদ্মা নদী। নদীর পাড়ে শহরের প্রায় সবখানেই দখলদাররা সক্রিয়। নগরীর বড়কুঠি এলাকায় তো বহুতল ভবনও করা হয়েছে। আলুপট্টি এলাকায় মাটি এবং ভাঙা ইট ফেলে নদী দখল করা হচ্ছে। বুধবার সকালে সেখানেই রাস্তা করছিলেন সিটি করপোরেশনের কয়েকজন কর্মী। একজন জানালেন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল হামিদ সরকার টেকন এভাবে নদী ভরাট করাচ্ছেন। নদীপাড়ের এই জায়গায় রেস্তোরাঁ বানানো হবে।

কাউন্সিলর আবদুল হামিদ সরকার টেকন বলেন, ‘এটা আমি ভরাট করছি-এমন না। বিভিন্ন স্থানে কাজ চলছে। তার ময়লা-আবর্জনা ফেলার মতো কোনো ভাগাড় নেই। ঠিকাদারেরা সেগুলো এনে ফেলছে। জায়গাটা ভরাট হয়ে নদীর ধারে মানুষের হাঁটাচলার জায়গাও হচ্ছে। সে কারণে আমি অবশ্য বাধা দিই না।’

রাজশাহী পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম শেখ বলেন, নদী ও বাঁধ দখলকারীদের চিহ্নিত করে তালিকা জেলা প্রশাসককে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে যে ধরনের নির্দেশনা আসবে সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল বলেন, ‘দখলদারদের উচ্ছেদ করতে হলে বড় অঙ্কের টাকা দরকার। বাজেটের সীমাবদ্ধতার কারণে আমরা উচ্ছেদ অভিযান চালাতে পারি না। আমরা বাজেট চেয়ে নদী কমিশনে লিখেছি। বাজেট পেলেই উচ্ছেদ শুরু হবে।’ সূত্র- আজকের পত্রিকা

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.