বৃহস্পতিবর, ১৯ েপ্টেম্বর ২০২৪, সময় : ১১:৩৩ pm

সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাবিতে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিখোঁজের সাতবছর পর ছেলেকে ফিরে পেলেন উচ্ছ্বসিত মা তানোরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত রাসিকের সাবেক কাউন্সিলর মনসুরের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন সেই রুবেল আরও ৭ দিনের রিমান্ডে সিলেবাস সংক্ষিতের দাবিতে রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ শেষে সমাবেশ পবায় উপজেলা প্রশাসনে ও কাটাখালি পৌরসভায় ভোগান্তি চিত্র নায়িকা পরীমণি পালন করলেন ‘বিবাহ বিচ্ছেদ’ দিন এক দফা দাবিতে রাজশাহীতে নার্সদের মিছিল শেষে মানববন্ধন প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) বিশ্ববাসীর জন্য রহমত : দুধরচকী রাজশাহীতে শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ডলার সংকটে বাংলাদেশকে সার দিচ্ছে না সরবরাহকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের নাগরিক সংবর্ধনা বাতিল রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বিচারিক ক্ষমতা পেলো সেনাবাহিনী আন্দোলনের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করলেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ বাগমারায় অধ্যক্ষ ও সভাপতির অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টি গুজব : আসিফ মাহমুদ একদিনের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা রাজশাহী আসছেন আজ বাংলাদেশ ও ভারত ভিসা জটিলতায় চার যৌথ সিনেমা একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির শাহরিয়ার কবির আটক
অতিথি পাখি নিধনে চলছে মহোৎসব : মহানন্দ অধিকারী মিন্টু

অতিথি পাখি নিধনে চলছে মহোৎসব : মহানন্দ অধিকারী মিন্টু

রাতের অন্ধকারে কিছু অসাধু চোরাকারবারি ফাঁদ পেতে পাখি শিকার করে চলেছে। দেশের দক্ষিণ অঞ্চলে জেলাগুলোতে শুরু হয়েছে অতিথি পাখি শিকার করে চলেছে। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয়ে চলে গভীর রাত পর্যন্ত অতিথী পাখি শিকারী। শীতে অতিথি পাখিরা আসে হিমেল সমুদ্র পাড়ি দিয়ে। অপেক্ষাকৃত উষ্ণ আবহাওয়ায় সুখ অনুভবে হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে ঝাঁক বেঁধে বাংলাদেশে। রৌদ্রোজ্জ্বল পরিবেশ আর ঠান্ডা রোদের মিশেল আবহাওয়ার দেশ এ দেশ। শীত মৌসুমে এ দেশে আসে খাবার আর নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে।

এ সময় সাইবেরিয়াসহ অন্যান্য শীতপ্রধান দেশের তীব্র শীতে তাদের পক্ষে বেঁচে থাকা কষ্টকর হয়। শুধু তাই নয়, তখন তীব্রভাবে খাদ্য সংকটও দেখা দেয়। প্রতিবছরের মতো এ বছরও শীতের শুরুতে সুদূর হিমালয়, সাইবেরিয়াসহ শীতপ্রধান অঞ্চল থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি  আমাদের দেশে এসেছে। নভেম্বরের শুরু থেকে অসংখ্য অতিথি পাখি আমাদের দেশে আসে। বিল-ঝিলগুলো মুখর হয়ে ওঠে। পাখির কিচিরমিচির শব্দে আনন্দঘন পরিবেশকে করে তোলে আরো প্রাণবন্তক। আবার শীতের তীব্রতা কিছুটা কমে গেলে তারা ফিরে যায়। এদের মধ্যে ডাহুক, তীরশুল, নলকাক, ভাড়ই, রাংগাবনী, গাংচিল, রাতচড়া, হুটটিটি, হারগিলা, বালিহাঁস, জলপিপি, কোম্বডাক, সরালি কাস্তে, চাড়া, পাতাড়ি হাঁস, কাদাখোচা, হুরহুর, খয়রা, সোনা রিজিয়া অন্যতম যেগুলোর মধ্যে অনেক প্রজাতিই বিলুপ্তির পথে।

রাতের অন্ধকারে কিছু অসাধু চোরাকারবারি ফাঁদ পেতে পাখি শিকার করে। পাখি শিকারিদের হাত থেকে অতিথি পাখিদের রক্ষা করার জন্য এ বিষয়ে স্থানীয় লোকজন, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সচেতন হওয়া দরকার। কারণ সচেতনতা ছাড়া কোনোভাবেই পাখি শিকার বন্ধ করা যাবে না। অতিথি পাখি অতিথিদের মতোই। এরা আমাদের মেহমানদের মতো। শীত শেষ হলেই এরা চলে যায়, বা অনেক প্রজাতির পাখি আমাদের দেশে থেকে যায়। এরা আমাদের সম্পদ। অতিথি পাখির আগমনে দেশের নদ-নদীর সৌন্দর্যকে বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু আমরা এই অতিথিদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করছি। এদেরকে শিকার করছি। আহারের বস্তু বানাচ্ছি।

কারা অতিথি পাখি শিকার করে? অধিকাংশ সময় দেখা যায়, শৌখিন ও পেশাদার পাখি শিকারিরা বন্দুক, বিষটোপ, জাল ও বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ পেতে পাখি শিকার শুরু করে। বর্তমান সময় বিশেষ রিংটোন ব্যবহার করে শিকারী করছে। অনেকে আবার শীতের সময় পখি শিকারকে পেশা হিসেবে নেয়। পেশা হিসেবে যারা নেয়, এটাই হচ্ছে অতিথি পাখিদের জন্য সবচেয়ে ভয়ংকর দৃশ্য। তারা রাতদিন দৌড়ায় অতিথি পাখির পেছনে। যার ফলে অতিথি পাখিরা নিরাপদে কোথায়ও বসতে পারে না।

১৯৭৪ সালে বন্যপ্রাণী রক্ষা আইন ও ২০১২ সালে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে বলা হয়েছে, পাখি নিধনের সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছর জেল, এক লাখ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে। একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি হলে অপরাধীর দুই বছরের জেল, দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডের বিধান রয়েছে। কিন্তু  দুঃখজনক হলেও সত্য, বাস্তবে এ আইনের কোনো প্রয়োগ দেখা যায় না। যদি প্রয়োগ হতো, তাহলে অতিথি পাখি শিকার হতো না। দেশের বেশ কিছু জায়গাকে এ সময়ে এরা বেছে নেয় নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে। তখন এই জায়গাগুলো অতিথি পাখির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়। এসব জায়গায় এদের নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। আমার দেশের সবার।

একটা পাখির মাংস কতটুকুই বা ১০০-২০০ গ্রাম। এই মাংসের একটু স্বাদ নেওয়ার জন্য তাদের নিধন করবেন! বন্দুক দিয়ে, ফাঁদ পেতে তাদের শিকার করেন? কিন্তু একটু চিন্তা করুন তো, প্রাকৃতিক পরিবেশের কত বড় ক্ষতিটা না আপনি করে ফেলছেন। এমনও হতে পারে, একটি পাখির একটি প্রজাতিও ধ্বংস করে ফেলতে পারেন। এই ভয়ংকর কাজটি আপনি একজন মানুষ হয়ে সামান্য লোভে পড়ে করে ফেলবেন? কিন্তু একটি প্রজাতি ধ্বংসের মুখে পড়ছে, সেটা নিয়ে ভাববেন না? সূত্র : এফএনএস

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.