রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:০৮ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, নিয়ামতপুর : আমি ঠিকমত আমার স্ত্রী সন্তানদের মুখে অন্ন তুলে দিতে পারি না। আমার সন্তানদের ঠিকমত লেখাপড়ার খরচ যোগাতে পারি না। খেয়ে না খেয়ে থাকতে হয়। বাস করার মত তেমন বাড়ী নাই। অথচ আমার কোন অভাব থাকার কথা ছিল না। আমার পৈত্রিক সম্পত্তি রয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেই সম্পত্তি জোরপুর্বক দখল করে রেখেছে। দুই দুস্কৃতিকারী।
এমনটাই কান্না বিজড়িত কন্ঠে গণমাধ্যমকর্মীর সামনে বলছিলেন পৈত্রিক সম্পত্তি হারা এক ভুক্তভোগী। ঘটনাটি উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের বাদে চাকলা গ্রামে। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী নিজেই।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলার নিতপুর মাষ্টার পাড়ার মৃত- বছির হোসেনের একমাত্র ছেলে বাশারত হোসেনের দখলীয় দীর্ঘদিন যাবত বাদে চাকলা মৌজার ৩৪/১ নম্বর খতিয়ানভুক্ত ১১ নম্বর দাগের ৩.৬০ একর সম্পত্তি বাদে চাকলা গ্রামের মৃত- সাবের আলীর ছেলে মাইনুল ইসলাম এবং গফুর মাষ্টারের ছেলে গোলাপ হোসেন এক বছর যাবত জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে এমনকি গত ৯ নভেম্বর ১৫/২০জন লোক ভাড়া করে জোরপূর্বক পাকা ধান কেটে নেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বাশারাত এ প্রতিবেদককে বলেন, উক্ত সম্পত্তিসহ বিভিন্ন মৌজায় ৬০.৬৩ একর সম্পত্তি বিনিময়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত হই। বাদে চাকলা মৌজায় ১৫.৪৮ একর সম্পত্তি বিনিময় হয়। বিনিময় হয় ১৩৫০ বঙ্গাব্দে। কিন্তু আর এস খতিয়ানে ভুলবশত পূর্বের জমির মালিকের নামই থেকে যায়। আমি ৭৭ সালে রেকর্ড সংশোধনীর মামলা দায়ের করি। মামলা নং-৩২৭/৭৭। নওগাঁ সাব জজ কোর্ট এ ১৯৮৩ সালে আমার পক্ষে রায় হয়। সেই বিনিময় এরই সম্পত্তি হচ্ছে এটা। সে সময় থেকে এ যাবতকাল পর্যন্ত আমি উক্ত সম্পত্তি ভোগ দখল করে আসছি।
গত এক বছর যাবত মাইনুল ও গোলাপ জোরপূর্বক দখল করে নেয়। আমি এক অসহায়। সরকার তথা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে আমার আকুল আবেদন আমার পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধার করে আমার পরিবারকে বাঁচান।
তিনি আরো বলেন, আমি যখন তাদের কাছে যাই তখন তারা বলে আমরা যুবনেতা বাবর আলীর কথায় এ সম্পত্তি দখল করে রেখেছি। তারা বললেই আমি ছেড়ে দিবো।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মাইনুল ক্যামেরার সামনে কোন কথা বলতে রাজি হন নাই। তবে তিনি বলেন, জমিটি নিয়ে কিছু জটিলতা থাকায় স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয় নেতাদের পরামর্শে তৃতীয় পক্ষ হিসাবে আমাকে আবাদ করতে বলা হয়েছে। বাশারতকে বর্গা হিসাবে ধান দেওয়ার কথা। নেতৃবৃন্দ বললেই আমি জমি ছেড়ে দিবো। মালিকানা নিয়ে বাশারত এর সাথে গাংগোরের মৃত মজিবর চেয়ারম্যানে ছেলে ফাকরুল ইসলামের দ্বন্দ্ব রয়েছে। তারাই স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দর নিকট বিচার দিলে তারা এ সিদ্ধান্ত দেন।
অভিযোগ বিষয়ে অফিসার ইনচার্জ হুমায়ন কবির বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আজকের তানোর