সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৬:৪১ am
রাজশাহীতে বোনের সঙ্গে ঝগড়া করায় লোহার চোঙার আঘাতে মো. আব্দুল্লাহ নামে এক ব্যক্তির তিনটি দাঁত ভেঙে দিয়েছেন শ্যালিকা। শনিবার (৬ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে শিরোইল কলোনির হাজরা পুকুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। যদিও ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মধ্যস্থতায় বিষয়টির নিষ্পত্তি হয় বলে জানা গেছে।এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে ভুক্তভোগী মো. আব্দুল্লাহ বলেন, আমার বাড়িতে বেড়াতে এসে আমার শালিই চোঙা দিয়ে আমার মুখে আঘাত করে তিনটি দাঁত ফেলে দিয়েছে।
আব্দুল্লাহর ভাষ্য, শুধু তার বোনকে (আব্দুল্লাহর স্ত্রী) বলেছিলাম- তোমার বোন মোবাইল ফোনে কার সঙ্গে এতো চাপাবাজি করছে, সে তো কোনোদিন স্কুলেই যায়নি। কিন্তু ফোনে বলছে আমি ম্যাট্রিক পাস এবার ইন্টারে পড়ছি। এ কথা বলায় আমার স্ত্রীর সঙ্গে সামান্য ঝগড়া হয়। এর মধ্যেই হঠাৎ চুলার পাশে পড়ে থাকা একটি লোহার চোঙা দিয়ে আমার চোয়ালের ওপর আঘাত করে। ওই আঘাতেই আমার নিচের তিনটি দাঁত খুলে পড়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, আমি রাজশাহী মেডিকেল কলেজে গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হই। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলাও করা হয়। তবে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর, থানার ওসি ও আমার ছেলেদের অনুরোধের কারণে তাকে মাফ করে দিই।
অভিযুক্ত শ্যালিকা বলেন, দুলাভাই বোনকে প্রায় নির্যাতন করেন। সেদিনও আমার বোনের সঙ্গে আমার সামনে ঝগড়া শুরু করে। এ সময় বোনকে মারতে চেয়েছিল। তাই আমি প্রতিবাদ করতে গিয়ে তাকে লোহার চোঙা দিয়ে মেরেছিলাম। তবে ওই ঘটনার মীমাংসা করে দিয়েছে পুলিশ ও কাউন্সিলর।
এ বিষয়ে ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন বলেন, কিছুদিন আগে এ ধরনের একটি পারিবারিক ঘটনা ঘটেছিল। তবে সেটি স্থানীয়ভাবে আমার কাউন্সিলর চেম্বারে বসে মীমাংসা করে দিই। পরে নতুন করে কিছু হয়েছে কি না জানি না।
চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমরান হোসেন বলেন, ঘটনার পর থানায় একজন অভিযোগ দেন। এটির তদন্তভার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পলাশকে দেওয়া হয়েছিল। তবে স্থানীয়ভাবে তারা বিষয়টির নিষ্পত্তি করে নেওয়ার কারণে ভুক্তভোগী মামলাও করেননি, আমরাও এ বিষয়ে আর কোনো পদক্ষেপ নিইনি। আজকের তানোর