সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০১:৩০ am
বিনোদন ডেস্ক : জন্মদিনে বাগদান সেরেছেন ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম। তিনি সনির সঙ্গে ছয় বছর প্রেম করলেও এতদিন তা গোপন রেখেছেন। রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে বেশ পরিকল্পিতভাবে এনগেজমেন্ট সম্পন্ন করেন তারা। মিমের হবু বরের নাম সনি পোদ্দার। পেশায় একজন ব্যাংকার। বর্তমানে সিটি ব্যাংকে কর্মরত আছেন। অর্নি নামে মিমের এক বান্ধবীর মাধ্যমে সনির সঙ্গে পরিচয় হয় তার।
সনি পোদ্দারের সঙ্গে প্রেমের বিষয়ে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ওর (সনি) সঙ্গে আমার পরিচয় সানজিদা অর্নি নামের এক বান্ধবীর মাধ্যমে। সেটাও আবার ফেসবুকে। অর্নির সঙ্গে সনি তখন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডে চাকরি করতো। অর্নি আমাকে প্রায়ই জিজ্ঞেস করত আমার লাইফে কেউ আছে কি না, কারো সঙ্গে প্রেম করি কিনা। আমি একবার মজার ছলেই ওকে বললাম, খোঁজ পেলে দেখ। এরপর ও বলে, দোস্ত একটা ভালো ছেলে আছে। কথা বলবি? আমি সরাসরি না করে দেই। কারণ চিনি না, জানি না, কেন কথা বলব! অর্নি বলল, বন্ধু হিসেবেই কথা বল। তাই নরমালি বন্ধু হিসেবে কথা বলা শুরু।
তিনি আরও বলেন, ফেসবুকে তিনজন মিলে গ্রুপ খুলল। সেই গ্রুপেই কথা বলতাম আমরা। কিছু দিন কথা বলার পর সনি আর আমি মিলে আলাদা কথা বলা শুরু করি! এটা আমার বান্ধবীও জানত না। ও জিজ্ঞেস করত, কথা হয় কি না। আমি বলতাম, না হয় না তো! অনেক দিন পরে গিয়ে ও জানতে পারে।
ভালোবাসার কথাটা প্রথম কে বলেছিল? এমন প্রশ্নে মিম বলেন, সনিই দিয়েছিল প্রস্তাবটা। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর কিংবা অক্টোবরের ১১ তারিখ হবে হয়ত! আসলে তারিখটা নির্দিষ্ট করে মনে নেই। এগুলো ও খুব ভালোভাবে মনে রাখতে পারে।
প্রথম দেখা করার অভিজ্ঞতা জানিয়ে নায়িকা বলেন, আমাদের প্রথম দেখা হয় গ্লোরিয়া জিনস রেস্টুরেন্টে। এটা ২০১৬ সালেই। আমি তখন খুব নার্ভাস ছিলাম। কারণ প্রথম একটা মানুষের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি। তার মধ্যে আবার ভয় ছিল, মা যদি জানে, তাহলে তো খবর আছে! আবার কেউ যদি দেখে ফেলে! সব মিলে অন্যরকম প্রতিক্রিয়া ছিল। তাই বেশিক্ষণ ছিলাম না। অল্প কিছুক্ষণ থাকার পর তাড়াতাড়ি করে আবার বের হয়ে চলে আসি।
তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগত জীবন একদমই নিজের মতো করে রাখতে পছন্দ করি। সেভাবে মানুষকে জানানোর ইচ্ছে ছিল না। আমার ইচ্ছে ছিল আমি অফিসিয়ালি জানাবো। যেমন কালকে একটা প্রোগ্রাম করে সবাইকে জানিয়েছি। আমি পরিকল্পনা করেই এটা করেছি। আমি চাইনি আমাদের প্রেমের কথা, একান্ত কথাগুলো নিয়ে বাইরে চর্চা হোক। আমার মা আমাদের সম্পর্কের কথা জেনেছে দুই বছর আগে।
বিদ্যা সিনহা মিম বলেন, গিফট আদান-প্রদান হতো আমাদের। শুরুতে আমার বাসায় গিফট এলে মা-বাবা কখনও জানতো না যে ও দিয়েছে। আমার একটা ভাই আছে প্রিয়ন্ত। ও নিয়ে আসত। বাসায় সবাই জানত প্রিয়ন্তই নিয়ে এসেছে। মা’র কাছে যদি মাঝেমধ্যে মনে হতো প্রিয়ন্ত এতো গিফট কেন দিচ্ছে? বলতাম অনলাইন থেকে গিফট দিয়েছে। এখন অবশ্য গিফট শুধু ও একা দেয় না, মামনীও (সনি পোদ্দারের মা) দেন। আজকের তানোর