সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:০৮ am
নিজস্ব প্রতিবেদক : অবশেষে পরিবর্তন করা হচ্ছে ২০১৭ সালে প্রণীত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ‘বিতর্কিত’ শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুলতান-উল-ইসলামকে সভাপতি ও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালামকে সদস্য সচিব করে ইতোমধ্যেই ১০ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত ২০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০৭তম সিন্ডিকেট সভায় ১০৬ নং সিদ্ধান্ত মোতাবেক এই কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়া, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মামুন, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক গোলাম কবির, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল্লাহ, হিসাববিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সায়েদুজ্জামান, প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু নাসের মোহাম্মদ ওয়াহিদ এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মো. মশিহুর রহমান।
বিশ^বিদ্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটে ‘শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা-২০১৫’ অনুমোদিত হয়েছিল। এর মূল বৈশিষ্ট্য ছিল অনার্স ও মাস্টার্সে ন্যুনতম সিজিপিএ ৩.৫ প্রাপ্তদের মধ্যে শুধুমাত্র ১ম থেকে ৭ম স্থান অধিকারীরা আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু ২০১৭ সালে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আবদুস সোবহান দ্বায়িত্ব গ্রহণের পর এই নীতিমালা শিথিল করে শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা-২০১৭ প্রণয়ন করেন। এতে সকল অনুষদের ক্ষেত্রে ১ম থেকে ৭ম স্থান অধিকারীদের আবেদনের যোগ্যতাটি শিথিল করার পাশাপাশি ব্যবসায়, আইন, কলা, সামাজিক বিজ্ঞান ও চারুকলা অনুষদের আবেদনের যোগ্যতা সিজিপিএ ৩.৫’র নিচে নামিয়ে আনা হয়। এমনকি, কিছু অনুষদে আবেদনের যোগ্যতা সিজিপিএ ৩.০০ করা হয়। ফলে এ নিয়ে সারাদেশে চরম বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতি এবং যুগোপযোগী নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশনা অনুসরণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নতুন শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা প্রণয়নকল্পে এই কমিটি করা হয়। শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা পরিবর্তনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ নীতিমালাও পরিবর্তন করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সব ধরনের নিয়োগ নীতিমালা পরিবর্তনের আগে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নতুন করে কোনো নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে না।
‘বিতর্কিত’ এই নিয়োগ নীতিমালা পরিবর্তনের জন্য আগামী সপ্তাহ থেকেই কাজ করতে যাচ্ছে ‘নিয়োগ নীতিমালা’ পরিবর্তন কমিটি।
এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, নিয়োগ নীতিমালা পরিবর্তনের জন্য ইউজিসি’র গাইডলাইন ও শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা-২০১৫ রয়েছে। তাই নতুন নিয়োগ নীতিমালার কাজ শেষ করতে বেশি সময় লাগার কথা না।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে যুগোপযোগী ও দক্ষ শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়োগের জন্য সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী সকল নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। আজকের তানোর