নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে বন্ধুর হাতে এক কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মামলার পর অভিযুক্ত জুবায়ের রহমানকে (১৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শিক্ষার্থীর পরিবারের দাবি বুধবার (৩ নভেম্বর) ভুক্তভোগীর বোনের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। পরে বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) বেলপুকুর থানায় ধর্ষণ মামলা করেন ওই ছাত্রীর দুলাভাই।

বেলপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, কলেজে তাদের পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে দুজনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক সময় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে (১৭) একাধিকবার ধর্ষণ করে তার বন্ধু জুবায়ের।

ওসি জানান, জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত স্বীকার করেছেন, তাদের দুজনের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে।

মামলার বাদী বলেন, আমি রাজমিস্ত্রির কাজ করি। সকালে কাজ করতে বের হই। বিকেলে বাড়ি আসলে আমার স্ত্রী জানায়, সকাল সাড়ে ১০টায় ছেলেটি তার বোনের বাড়িতে ঢুকেছে। বিকেলেও সে দরজা খুলেনি।

তিনি আরও বলেন, এরপর ৯৯৯ এ কল করে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে রাত ১১টার দিকে দরজা খুলে দুজনকে থানায় নিয়ে যায়।

বাদীর অভিযোগ, এ ঘটনায় মামলা করতে চাইলে পুলিশ এতে আপত্তি জানায়। বিষয়টি আপস করে নিতে প্রস্তাব দেয় পুলিশ। কিন্তু মেয়ের পরিবার বিয়ের প্রস্তাব করে। এতে ছেলের পরিবার আপত্তি জানায়।

ছাত্রীর দুলাভাই বলেন, সাংবাদিকরা উপস্থিত হওয়ার পর মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ। তবে মামলার এজাহারে কী লিখেছে আমি কিছুই জানি না।

এ বিষয়ে ওসি জানান, দুজনের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আপস-মীমাংসা করে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তারা আপত্তি জানানোর ফলে ওই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে। আসামি জুবায়েরকে আদালতের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে জেলে। অন্যদিকে ছাত্রীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রামেক) ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। আজকের তানোর