সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০১:৪৭ pm
ডেস্ক রির্পোট : ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্কে ফাটল ধরাতেই হিন্দু সম্প্রদায় বা সনাতন ধর্মের ওপর হামলা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবাদুল কাদের। সাম্প্রতিক সময়ে চক্রান্তকারীরা দুটি লক্ষ্যকে সামনে রেখে হামলা চালিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে নোয়াখালীর চৌমুহনীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এমন মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
এ সময় নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা চৌমুহনীতে ও বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নেতারাও যুক্ত হন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি। এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বক্তব্য রাখেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনে, নির্বাচনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী। দুটো কাজ তারা করতে চেয়েছে-এ অপকর্মের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের প্রতি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের যে সমর্থন এই সমর্থনের দুর্গে আঘাত হানতে চেয়েছে। আর অন্যটি, প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে বিরাজমান সুসম্পর্কে ফাটল ধরানোর জন্য তারা সুগভীর চক্রান্ত বলে আমি মনে করি।
বেগমগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ আপনাদের সঙ্গে আছে। আপনাদের যে ক্ষতিগ্রস্ত পূজামণ্ডপ, মন্দির ও ঘরবাড়ি-যেগুলো পুড়ে গেছে, সেগুলো সরকারিভাবে করে দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে আমি সরকারের পক্ষ থেকে আপনাদের আশ্বস্ত করছি। মন্দিরগুলোর কোনো কোনোটি পুনর্নির্মাণ, যেগুলোর সংস্কার করার দরকার, সংস্কার এবং যারা যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে-ক্ষতিপূরণের জন্য সবকিছু করা হবে। চৌমুহনীর ঘটনার নেপথ্যের মানুষদের খুঁজে বের করে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলেও জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন আসছে, তারা ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা করছে, এক এগারো সৃষ্টির দুঃস্বপ্ন দেখছে। দেশকে অশান্ত করার জন্য এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। এই সাম্প্রদায়িক অপশক্তির নির্ভরযোগ্য অপশক্তি হচ্ছে বিএনপি। তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় মাঝে মাঝে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চক্রান্ত হয়।
নোয়াখালীর দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভোট এলে হিন্দুদের কাছে গিয়ে আমরা যারা মায়াকান্না করি, হিন্দু দরদ দেখাই। হিন্দুদের বিপদের সময় আমরা তাঁদের পাশে দাঁড়াতে পারিনি কেন? এ প্রশ্ন আপনাদের প্রত্যেকের বিবেকের কাছে আমি রেখে গেলাম।
দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন করার কারণে অভ্যন্তরীণ কোন্দল বাড়ছে কি-না এ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলীয় প্রতীকে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কিছু কিছু সমস্যা আছে। ইদানীং কিছু সমস্যা হচ্ছে। অনেক সময় বিভেদ ও মারামারির মতো ঘটনাও ঘটে। কিন্তু আমরা নির্বাচনে প্রতীক দিয়ে আবার সামনের নির্বাচনগুলো ওপেন দেব-এটা সত্য নয়। এমন কোনো চিন্তা আওয়ামী লীগ করেনি। সূত্র : আজকের পত্রিকা