রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:২৬ am
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানের ক্ষমতা তালেবানের নিয়ন্ত্রণে আসার পর প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে এসেছেন গোষ্ঠীটির শমীর্ষ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুনদজাদা। রোববার (৩১ অক্টোবর) তালেবান কর্মকর্তারা এমন দাবি করেছেন।
শনিবার তিনি আফগানিস্তানের কান্দাহারে এক মাদ্রাসায় যান। এ সময় সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দুঃসাহসী সেনা ও শিষ্যরা, আফগানিস্তানের মুজলুম মানুষেরা, যারা গেল দুই দশক ধরে অবিশ্বাসী ও নিপীড়কদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, আল্লাহ তাদের পুরস্কৃত করবেন। আপনাদের এবং নিজের জন্য আমি দোয়া করতে এখানে এসেছি।
তিনি বলেন, ইসলামিক আমিরাত আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে ব্যাপক পরীক্ষার মুখোমুখি তালেবান কর্মকর্তারা। যাতে এই কঠিন পরীক্ষায় আমরা সফল হই, আপনাদের কাছে সেই দোয়া করছি। তবে তার এই উপস্থিতি ও বক্তৃতার কোনো ভিডিও কিংবা ছবি প্রকাশ করা হয়নি। কেবল একটি অডিও রেকর্ড ছাড়া হয়েছে।
আমির উল মুমিনিন পদবীধারী আখুনদজাদাকে আগস্টে তালেবানের আফগানিস্তান দখলের পরও কখনোই জনসমক্ষে দেখা যায়নি, যে কারণে তার মৃত্যুর গুজব ডালপালা মেলেছিল। তিনি কান্দাহারের ওই মাদ্রাসায় অবস্থান করার সময় তার সঙ্গে সেখানে থাকা ঊর্ধ্বতন এক তালেবান নেতা পরে জানান, সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা কান্দাহারের জামিয়া দারুল উলুম হাকিমিয়া মাদ্রাসা ঘুরে গেছেন।-খবর ডয়চে ভেলে ও রয়টার্সের
যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন বাহিনী আফগানিস্তান ছাড়ার পর সেপ্টেম্বরে তালেবান তাদের অন্তর্বর্তী সরকারের সদস্যদের নাম ঘোষণা করলেও আখুনদজাদা থেকে যান তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা পদেই। তালেবান দীর্ঘদিন ধরেই তাদের নেতাদের ছায়ার আড়ালে রাখছেন। গোষ্ঠীটির প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরও তার নির্জনবাসের জন্য বিখ্যাত ছিলেন। ১৯৯০-এর দশকে যখন তালেবান ক্ষমতায় এসেছে, তখন তাকে খুব একটা কাবুল সফর করতে দেখা যায়নি।
কান্দাহারে তার বাসভবনে তিনি লোকচক্ষুর আড়ালে থাকতেন। এমনকি বিভিন্ন দেশ থেকে আসা প্রতিনিধিদের সঙ্গে মিশতেও তার খুব একটা আগ্রহ দেখা যায়নি। তালেবানের ওপর এখনো তার প্রভাব রয়েছে। তার কথা অনুসারেই তালেবান চলে। তার মতো সম্মান পেতে আর কোনো নেতাকে দেখা যায়নি।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের এশীয় কর্মসূচির প্রধান লৌরেল মিলার বলেন, পূর্বসূরি মোল্লা ওমরের মতোই নির্জনবাসকে গ্রহণ করেছেন আখুনদজাদা। অনেকটা নিরাপত্তার কারণেই হয়তো তাকে আড়ালে রাখা হচ্ছে। এর আগে তার পূর্বসূরি মোল্লা আখতার মানসুরকে ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যা করেছিল মার্কিন বাহিনী। আজকের তানোর