রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০১:৫৫ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক : আলু চাষের জন্য খ্যাত রাজশাহীর তানোর উপজেলা। এবার আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ধান কেটে মাঠের পর মাঠ আলু রোপণ করছেন এখানকার কৃষকেরা। এদিকে গত এক সপ্তাহে আলুর বীজ কেজিতে তিন-চার টাকা বেড়েছে।
সরেজমিনে উপজেলার দুই পৌর ও সাত ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, মাঠে মাঠে চলছে এখন আলু রোপণ ও জমি তৈরির কাজ। পাশাপাশি আগাছা পরিষ্কার ও বীজ সংগ্রহ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবারের মৌসুমে গোটা উপজেলায় প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। বেশ কয়েক বছর ধরে তানোরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আলুর আবাদ হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কৃষকেরা রোমানা জাতের আলু বেশি আবাদ করে থাকেন। এ ছাড়া কাটিলাল, সূর্যমুখী, দেশি পাকড়ি, ডায়মন্ড, অ্যারিস্টিকসহ আরও নানা জাতের আলুর আবাদ করেন। এদিকে মৌসুমের শুরুতেই এলাকার হাটবাজারগুলোয় আলুর বীজ কেনাবেচা হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন মোকাম থেকে আলুর বীজ এনে বিক্রি করছেন। প্রতি কেজি আলুর বীজ ২৫-৩৫ টাকা দরে কেনাবেচা হচ্ছে। দিন সাতেক আগে প্রতি কেজি আলু ১৪-১৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
উপজেলার একাধিক আলুবীজ ব্যবসায়ী বলেন, মোকামে দাম বেড়েছে। সেখান থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে বলে এখানকার হাটগুলোয় বলতে গেলে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তা ছাড়া বীজ আলুর দাম সবসময়ই বেশি থাকে।
এ নিয়ে উপজেলার তালন্দ ইউনিয়নের কালনা গ্রামের আলুচাষি রানা আলী বলেন, যাঁর আলু যত আগে উঠবে, সেই কৃষক তত ভালো দাম পাবেন। তাই লাভের আশায় আগাম আলু চাষ করছেন তাঁরা। তবে হঠাৎ করে বীজ আলুর দাম বেড়ে ২৫-৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
আলুচাষি হাবিবুর রহমান বলেন, এ এলাকার মাটি উঁচু এবং বালুমিশ্রিত হওয়ায় বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত না হলে আলু চাষে তেমন কোনো ভয় থাকে না। ফলনও হয় ভালো। উৎপাদিত আলু রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহর ছাড়াও বহির্বিশ্বে চড়া দামে বিক্রি করে লাভবান হওয়া যায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শামিমুল ইসলাম বলেন, এ উপজেলার মাটি আলু চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এবার আবহাওয়া অনুকূল থাকায় মাঠের পর মাঠ আলু চাষে কোমরবেঁধে কাজ করছেন কৃষকেরা। আজকের তানোর