রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০১:৪৪ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর তানোরে আগামী ১১ নভেম্বর কামারগাঁ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ফজলে রাব্বী ফরহাদের বিজয় নিশ্চিত করতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন।
এ উপলক্ষে আজ (২৮ অক্টোবর) বৃহস্প্রতিবার অত্র ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চৌবাড়িয়া (মালশিরা) মোড়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত পথসভায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সংগ্রামী সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না।
এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক রামকমল সাহা, দপ্তর সম্পাদক জিল্লুর মাস্টার, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক তুফাজ্জুল হোসেন খাঁন, ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নৌকার প্রার্থী ফজলে রাব্বী ফরহাদ। এছাড়াও অত্র ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সুফি কামাল মিন্টু প্রমুখ।
এসময় প্রধান অতিথি চেয়ারম্যান ময়না তার বক্তব্য বলেন, ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলে রাব্বী ফরহাদ পরপর চার বার দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু তখন মনোনয়ন তিনি পাননি। তবে, তিনি দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে নৌকার পক্ষে বার বার ভোট করেছেন, কখানো বিদ্রোহী হয়ে দলের সঙ্গে বেঈমানী করেন নি। অথচ আজ যে মোসলেম উদ্দিন স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) প্রার্থী হয়ে নৌকার বিজয় ঠেকাতে মরিয়া। সেই মোসলেম দুবার নৌকা নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন ফরহাদ বিদ্রোহী না হয়ে তার পক্ষে কাজ করেছেন।
কিন্তু আজ যে নৌকা নিয়ে মোসলেম এতো সম্মানিত হয়েছেন। এবার মনোনয়ন না পেয়ে তিনি সেই নৌকা ডোবাতে বিদ্রোহী হয়েছেন। এই বিদ্রোহ কার বিরুদ্ধে। অবশ্যই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। কারণ দলীয় মনোনয়ন দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, আপনারা কারো কোনো প্রলোভনে না পড়ে নৌকায় ভোট দিবেন। মনে রাখবেন, আপনারা কোনো ব্যক্তিকে নয়, ভোট দিচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দেয়া প্রতিক নৌকায়। আর বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা বিশ্বাসি তারা কখানো কোনো অবস্থাতেই নৌকার বিরোধীতা করতে পারেন না। নৌকা হলো উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের প্রতিক। শেখ হাসিনা সরকার আছে বলেই ১০ টাকা কেজি মুল্যে চাল এবং প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল পাচ্ছেন দুস্ত মাতারা।
এছাড়াও শেখ হাসিনার সরকার মানেই উন্নয়ন ও মানব কল্যাণের সরকার এবং শেখ হাসিনা মানেই বাংলাদেশ। নৌকা হচ্ছে স্বাধীনতার প্রতীক। সেই প্রতীক যারা পেয়েছেন তাদেরকে আপনাদের মুল্যবান ভোট দিয়ে ইউপি এলাকার বাঁকি উন্নয়ন কাজ করার সুযোগ করে দিবেন।
পরিশেষে চেয়ারম্যান ময়না বলেন, নৌকা মনোনীত ব্যক্তিরা চেয়ারম্যান হয়েছিল বলেই আজ দেশের মানুষ ভিজিডি, ভিজিএফ, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা এবং ৩০ টাকা কেজি দরে চাল পাচ্ছেন।
আপনারা শুধু ভোট দিলে হবে না। আপনারা নৌকার জন্য মানুষের কাছে গিয়ে ভোট চাইবেন। অনেকে মন ভুলানো কথা বলবে, সেসব কথায় কান না দিয়ে আগামী ১১ নভেম্বর নৌকার প্রার্থীদের বিপুল ভোটে বিজয়ী করে এলাকার উন্নয়ন বুঝে নিবেন। আজকের তানোর