শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৫:০৫ am

সংবাদ শিরোনাম ::
মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য কোথাও বসাতে না পেরে বিক্রি করলেন ভাঙারির দোকানে রাজনৈতিক দলকে সরিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা নেই : আনন্দবাজারকে জামায়াতের আমির আগামী তিন মৌসুমের জন্য আইপিএলে যে ১৩ ক্রিকেটারের নাম দিল বিসিবি স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েও কাজ থামিয়ে রাখেননি অভিনেত্রী হিনা খান নগরীতে সন্ত্রাসি কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধে ১১ জন গ্রেপ্তার তানোরে সার বিতরণে অনিয়ম ও পাঁচার রোধে হট্টগোল মারপিট দুর্গাপুরে হোজা নদী পুন:খনন ও দখলমুক্ত দাবিতে ইউএনও’কে স্মারকলিপি রাজশাহীতে সমন্বয়ক পেটানোর ব্যাখ্যা দিল মহানগর ছাত্রদল আঘাতের দাগে সম্পর্কের রূপান্তর ! রাজু আহমেদ তানোরে শিক্ষক সমিতিকে নিজ পকেটে রাখতে মরিয়া বিএনপি নেতা মিজান অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার পক্ষে লড়তে চান জেড আই খান পান্না নগরীতে বিএনপি নেতাকে ছুরিকাঘাত আগামী ২৯ নভেম্বর খুলছে রাজশাহী সুগার মিল জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের স্মরণে স্মরণসভা রাজশাহীতে যুবলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ১১ বাগমারা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবু তালেবের ইন্তেকাল তানোরে মসজিদের এসি অফিসার্স ক্লাবে, ইমামের অর্থ আত্নসাৎ প্রমান পেয়েছে তদন্ত কমিটি সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তানোরে বিএনপির কর্মীসভা নগরীতে ছাত্রলীগ নেতাসহ বিভিন্ন অপরাধে ৮ জন গ্রেপ্তার লীজকৃত পুকুর দখল, মালিককে বুঝিয়ে দিতে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ
অর্থ অভাবে শিকলে বন্দি বাগমারার দীপকের জীবন

অর্থ অভাবে শিকলে বন্দি বাগমারার দীপকের জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগমারা : বছর খানেক আগে দীপক চন্দ্র (২৪) হঠাৎ অসংলগ্ন কথাবার্তা বলা শুরু করেন। সঙ্গে যোগ হয় অস্বাভাবিক আচরণ। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এরপর পরিবারের লোকজনকে মারধর করাসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করতে থাকেন তিনি।

এ অবস্থায় নিরুপায় হয়ে বাড়ির লোকেরা পাঁচ মাস ধরে শিকল ও রশি দিয়ে দীপকের হাত-পা বেঁধে রেখেছেন। দীপক রাজশাহীর বাগমারার মচমইল আদিবাসীপাড়ার গোপাল চন্দ্রের ছেলে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মচমইল বাজারের পাশে পরিত্যক্ত এক জমিদার বাড়িতে বসবাস কয়েকটি ক্ষুদ্র জাতিসত্তার পরিবারের। সেখানে দীপকের পরিবারও থাকে। ঘরের বাইরে একটি খুঁটির সঙ্গে শিকল আর রশি দিয়ে দীপকের হাত-পা বাঁধা। তার দুই পায়ে শিকল পড়ানো রয়েছে। এছাড়াও পিটমোড়া দিয়ে বাঁধা আছে হাত। কথাবার্তা বলছেন না। মাঝে মধ্যে শিকল খোলার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছেন।

দীপকের বাবা গোপাল চন্দ্র বলেন, তারা গরিব মানুষ। এর মধ্যে তার ছেলে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে গেছেন। চিকিৎসার জন্য টাকা না থাকায় কবিরাজের কাছে নিয়ে যাচ্ছেন।

মা সন্ধ্যা রানী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, টাকার অভাবে ছেলের ভালোভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। ছেলে ভালো না হওয়ায় দেড় মাস আগে তার পত্রবধূ শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়িতে চলে গেছেন।

তিনি আরও বলেন, কাজ না করলে খাবার জুটবে না। তাদের কাজের জন্য বাড়ির বাইরে যেতে হয়। এ জন্য নিরুপায় হয়ে ছেলেকে বেঁধে রেখে যান।

স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও কলেজ শিক্ষক সমরেশ সরকার বলেন, দীপক দিনমজুরি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। হঠাৎ তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তিনি দীপকের চিকিৎসার জন্য কিছু আর্থিক সহযোগিতা করেছেন। কিন্তু সামর্থ্য না থাকায় দীপকের পরিবার কবিরাজের কাছে যাচ্ছে।

শুভডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল হাকিম বলেন, তিনি দীপকের বিষয়টি জানেন। তার পরিবারকে সহায়তা করেছেন। আবারও খোঁজখবর নেবেন। আজকের তানোর

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.