শুক্রবার, ২০ েপ্টেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:৩২ am

সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাবিতে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিখোঁজের সাতবছর পর ছেলেকে ফিরে পেলেন উচ্ছ্বসিত মা তানোরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত রাসিকের সাবেক কাউন্সিলর মনসুরের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন সেই রুবেল আরও ৭ দিনের রিমান্ডে সিলেবাস সংক্ষিতের দাবিতে রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ শেষে সমাবেশ পবায় উপজেলা প্রশাসনে ও কাটাখালি পৌরসভায় ভোগান্তি চিত্র নায়িকা পরীমণি পালন করলেন ‘বিবাহ বিচ্ছেদ’ দিন এক দফা দাবিতে রাজশাহীতে নার্সদের মিছিল শেষে মানববন্ধন প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) বিশ্ববাসীর জন্য রহমত : দুধরচকী রাজশাহীতে শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ডলার সংকটে বাংলাদেশকে সার দিচ্ছে না সরবরাহকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের নাগরিক সংবর্ধনা বাতিল রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বিচারিক ক্ষমতা পেলো সেনাবাহিনী আন্দোলনের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করলেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ বাগমারায় অধ্যক্ষ ও সভাপতির অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টি গুজব : আসিফ মাহমুদ একদিনের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা রাজশাহী আসছেন আজ বাংলাদেশ ও ভারত ভিসা জটিলতায় চার যৌথ সিনেমা একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির শাহরিয়ার কবির আটক
অর্থ অভাবে শিকলে বন্দি বাগমারার দীপকের জীবন

অর্থ অভাবে শিকলে বন্দি বাগমারার দীপকের জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগমারা : বছর খানেক আগে দীপক চন্দ্র (২৪) হঠাৎ অসংলগ্ন কথাবার্তা বলা শুরু করেন। সঙ্গে যোগ হয় অস্বাভাবিক আচরণ। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এরপর পরিবারের লোকজনকে মারধর করাসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করতে থাকেন তিনি।

এ অবস্থায় নিরুপায় হয়ে বাড়ির লোকেরা পাঁচ মাস ধরে শিকল ও রশি দিয়ে দীপকের হাত-পা বেঁধে রেখেছেন। দীপক রাজশাহীর বাগমারার মচমইল আদিবাসীপাড়ার গোপাল চন্দ্রের ছেলে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মচমইল বাজারের পাশে পরিত্যক্ত এক জমিদার বাড়িতে বসবাস কয়েকটি ক্ষুদ্র জাতিসত্তার পরিবারের। সেখানে দীপকের পরিবারও থাকে। ঘরের বাইরে একটি খুঁটির সঙ্গে শিকল আর রশি দিয়ে দীপকের হাত-পা বাঁধা। তার দুই পায়ে শিকল পড়ানো রয়েছে। এছাড়াও পিটমোড়া দিয়ে বাঁধা আছে হাত। কথাবার্তা বলছেন না। মাঝে মধ্যে শিকল খোলার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছেন।

দীপকের বাবা গোপাল চন্দ্র বলেন, তারা গরিব মানুষ। এর মধ্যে তার ছেলে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে গেছেন। চিকিৎসার জন্য টাকা না থাকায় কবিরাজের কাছে নিয়ে যাচ্ছেন।

মা সন্ধ্যা রানী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, টাকার অভাবে ছেলের ভালোভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। ছেলে ভালো না হওয়ায় দেড় মাস আগে তার পত্রবধূ শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়িতে চলে গেছেন।

তিনি আরও বলেন, কাজ না করলে খাবার জুটবে না। তাদের কাজের জন্য বাড়ির বাইরে যেতে হয়। এ জন্য নিরুপায় হয়ে ছেলেকে বেঁধে রেখে যান।

স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও কলেজ শিক্ষক সমরেশ সরকার বলেন, দীপক দিনমজুরি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। হঠাৎ তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তিনি দীপকের চিকিৎসার জন্য কিছু আর্থিক সহযোগিতা করেছেন। কিন্তু সামর্থ্য না থাকায় দীপকের পরিবার কবিরাজের কাছে যাচ্ছে।

শুভডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল হাকিম বলেন, তিনি দীপকের বিষয়টি জানেন। তার পরিবারকে সহায়তা করেছেন। আবারও খোঁজখবর নেবেন। আজকের তানোর

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.