রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:০৭ pm
কে এম রেজা, পুঠিয়া : রাজশাহীর পুঠিয়ায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীরা ধরা ছোয়ার বাহিরে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে চুক্তি করে ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। থানা পুলিশ মাঝেমধ্যে ছোটখাটো মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করে জেলহাজতে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশের রহস্যজনক নিরবতার কারণে মাদক ব্যবসায়িরা ব্যাপরোয়া হয়ে উঠেছে।
মাদক ব্যবসায়ীরা হাইস্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রথম টার্গেট করছে। নতুন ক্রেতা বৃদ্ধি করতে তারা বিভিন্ন মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে মাদকদ্রব্য পৌছে দিচ্ছেন। এতে করে অনেক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এখন মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছেন বলে শিক্ষকরা অভিযোগ করছেন। থানা সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক বছরে এই এলাকায় মাদকের কারবার কয়েকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। সে তথ্যমতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ শীর্ষ মাদক কারবারিদের একটি তালিকা তৈরির নির্দেশ দেন।
নির্দেশ মোতাবেক গত ২০২০ সালের শেষের দিকে এলাকার প্রায় অর্ধশতাধিক মাদক ব্যবসায়িদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়। ওই তালিকায় হিটলিস্ট রয়েছে চিহ্নিত ২৭ জনের নাম। এদের মধ্যে একাধিক জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা ও ছাত্র নেতাদের নাম রয়েছে। আবু তাহের হোসেন নামের একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, আমার ছেলে সদর এলাকার একটি কলেজে পড়ে। এলাকায় চিহ্নিত দুইজন মাদক ব্যবসায়ি ওই কলেজে প্রতিদিন আসা-যাওয়া করে।
তারা এখানে বিভিন্ন শিক্ষাথীদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলছে। আর ওই শিক্ষার্থীরা এখন মাদকাসক্ত। ছেলেকে চোখে রাখতে প্রায় প্রতিদিন আমিও তার সাথে কলেজে আসি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, মাদক ব্যবসায় এখন রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা জড়িয়ে পড়েছেন। আর বিশেষ সুবিধা নিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণ করছেন একজন শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা।
ওই নেতা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তর নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে থাকেন। আর মাঝেমধ্যে দুই একজন ছোটখাটো ব্যবসায়িদের পুলিশ আটক করে। কিন্তু শীর্ষ কারবারিরা থাকছেন ধরাছোঁয়ার বাহিরে। বিষয় গুলো মাঝেমধ্যে উপজেলা পরিষদের মাসিক আইনশৃংখলা সভায় অভিযোগ তুলেও কোনো কাজ হচ্ছে না। বড় মাদক বিক্রেতাদের থানা পুলিশ চেনে কিন্তু গ্রেফতার করেন না।
পুঠিয়া নন্দনগাছি সড়কে প্রতিদিন শতশত মাদক ব্যবসায়ীদের দেখা যায়। চারঘাট উপজেলার বালাদিয়ার হতে মাদক এনে প্রকাশ্যে পুঠিয়ার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করচ্ছে। উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম হিরা বাচ্চু বলেন, একসময় পাড়া মহল্লায় কোনো মাদক বিক্রেতা ছিল না। এখন মাদকসেবী এবং বিক্রেতারা ঘরে ঘরে হয়ে গিয়েছে। প্রতিটি পরিবার উচিত তাদের সন্তানদের সব সময় নজরে রাখা।
এ ব্যাপারে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সোহরাওয়াদী হোসেন বলেন, মাদকের সঙ্গে আমরা কোনো আপস নেই। তবে আমি এই থানায় আসার আগে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়িদের একটি তালিকা হয়েছে। আমরা তালিকার সঙ্গে এলাকার কিছু নতুন মাদক বিক্রেতাদের নাম পেয়েছি। এই থানায় প্রতিদিন কয়েকটি মাদকের মামলা হয়ে থাকে। বাকি বড় মাদক বিক্রেতাদের হাতেনাতে আটকের চেষ্টা চলছে। আজকের তানোর