রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০২:২০ am
শাকিল আহমেদ, নিয়ামতপুর (নওগাঁ) :
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইউনিয়ন পরিষদের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীর ব্যানার টাঙ্গানো ও তোরণ তৈরী করাকে কেন্দ্র কওে ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে হামলার শিকার হয়েছেন সম্ভাব্য ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তার ভাই বর্তমান ইউপি সদস্য।
ঘটনাটি ঘটেছে ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যে ৬টায় নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভাবিচা ইউনিয়নের আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার শরিফুল ইসলাম ও তার ভাই ইউপি সদস্য জমসেদ আলীকে ভাবিচা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও অত্র ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব ওবাইদুল হক ও ৮নম্বর ওয়ার্ড সদস্য তুশিত কুমার সরকারসহ আরো কিছু সঙ্গীরা শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়ার মেইন রাস্তায় সন্ধ্যে ৬টায় অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে এবং ৩টি মটরসাইকেল ভাংচুর করে। এবিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
এবিষয়ে সম্ভাব্য প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার শরিফুল ইসলাম বলেন, আমার লোক ভাবিচা গ্রামে ব্যানার লাগাতে ও তোরণ তৈরী করতে গেলে তুশিত কুমার ও তার সহযোগীরা বাধা দেয়। পরে আমরা কারণ জানতে চাইলে তারা কোন কথা না বলে আমাদের উপর মারমুখী হয়। আমরা কোন বিবাদে না জড়ানোর জন্য সেখান থেকে থানায় এসে জানালে তারা অন্য রাস্তা দিয়ে চলে যেতে বলে। আমরা অন্য রাস্তা দিয়ে বাড়ী যাওয়ার জন্য বের হলে শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়ায় হঠাৎ ওবাইদুল চেয়ারম্যান ও তুশিত মেম্বরসহ আরো বেশ কিছু লোক পেছন থেকে লাঠি, রড নিয়ে আক্রমন করলে আমাকে ও আমার ভাই বর্তমান মেম্বর জমশেদ আলীকে এলোপাতাড়ি মারধরে করে মারাত্মকভাবে আহত করে। আমাদের সাথে থাকা ৩টি মটরসাইকেলও ভাংচুর করে।
তিনি আরো বলেন, আমার উপজেলাবাসী, দেশবাসী তথা ইউনিয়নবাসীর কাছে জিজ্ঞাসা আমরা কি এ দেশের নাগরিক না? আমাদের কি নির্বাচন করা কোন অধিকার নাই? তাহলে কেন তারা ব্যানার লাগাতে ও তোরণ তৈরী করতে পারবো না।
আহত ইউপি সদস্য জমসেদ আলী বলেন, তুশিত মেম্বর আমাদের তোরণ তৈরী করতে বাধা দেয়। সে হুমকি দিয়ে বলে নৌকা ছাড়া কোন ব্যানার পোষ্টার লাগানো বা গেট করা যাবে না। আমি ইউপি সদস্য সেও ইউপি সদস্য তারপরেও সে নিজেই আমাদের উপর হামলা চালায়। আমাদের মারধর করে।
চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওবাইদুল হক বলেন, যখন ভাবিচা গ্রামে কথা কাটাকাটি হয়। তখন আমি সেখানে ছিলাম না। আমি নিয়ামতপুর উপজেলা সদরে ছিলাম। গোলমালের কথা শুনে চেয়ারম্যান হিসাবে আমি গিয়েছিলাম। ছেলেদের শান্ত করে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছি। মারামারির কোন প্রশ্নই উঠে না। তারা সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা বলেছে। বরং তারাই আমাদের খাদ্যমন্ত্রী বা হিন্দু সম্প্রদায়কে নিয়ে কটুক্তি করেছে।
ইউপি সদস্য তুশিত কুমার সরকার বলেন, যখন তারা আমাদের গ্রামে গেট করতে আসে। তখন আমি ও আমার গ্রামের ছেলেরা বাধা দেই। বলি যেখানে বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনার ছবি নাই, সেখানে কোন গেট হবে না। তাছাড়া যেহেতু তফশীল ঘোষনাও হয়নি তাই নির্বাচনের কোন গেট হবে না। আমরা বাধা দিলে শরিফুল ইসলাম বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমাদের মালোয়ান বলে গালি দেয়। তখন স্থানীয় যুবকরা উত্তেজিত হলে তারা সেখান থেকে চলে যায়। আমি গ্রামেই থেকে যাই। গোলমালের সময় সেখানে ছিলাম না।
অফিসার ইন চার্জ হুমায়ন কবির বলেন, এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাই নাই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আজকের তানোর