শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৭:৫২ am
ডেস্ক রির্পোট : এক সময় আপন ঠিকানায় মাথা গোঁজার ঠাঁই যাদের হয়নি, এখন আশ্রয়ের সঙ্গে অবহেলিত সেই শিশুরা বিনোদনের কেন্দ্র হিসেবে পেল শিশুপার্ক। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়েছেন তাদের বাবা-মা। ভূমিহীন ও গৃহহীন এসব পরিবারের শিশুদের খেলাধুলার সুযোগ সৃষ্টি ও মানসিক বিকাশের জন্য প্রশাসনের উদ্যোগে আশ্রয়ণ প্রকল্পের জমিতেই নির্মাণ করা হয়েছে শিশুপার্ক।
সম্প্রতি নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার ফাগুয়াড়দিয়াড় ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পে শিশুদের জন্য শিশুপার্কের উদ্বোধন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ প্রধান অতিথি থেকে এ পার্কের উদ্বোধন করেন।
সূত্র জানিয়েছে, কামারপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে মোট ২৪টি পরিবার প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে সেখানে বসবাস করছে। প্রতিটি পরিবারেই দুই-একটি শিশু রয়েছে। এসব শিশুদের বিনোদনের সুবিধার্থে প্রশাসনের উদ্যোগে মিনি পার্ক নির্মাণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে একটি কমিউনিটি সেন্টারও নির্মাণ করে তাদের বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানে ব্যবহারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সরেজমিন ওই পার্কে ঘুরে দেখা যায়, পিয়াস, চাঁদনি, সুরাইয়া ও তামিম নামের চারজন শিশু ঘোড়া রাইডারে চড়ে ঘুরছে। তাদের চোখে উচ্ছ্বাস আর মুখে হাসি। অদূরে দোলনায় ছোট রাইসাসহ আরও চারজন দোল খাচ্ছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পিয়াস, চাঁদনি, রাইসা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে থাকে। আর অন্যরা প্রতিবেশী। শিশুপার্কে এসে সবাই একসঙ্গে খেলা করছে।
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাওয়া বয়োবৃদ্ধ আলীমুদ্দিন জানান, তিনি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৫ নম্বর ঘরটি বরাদ্দ পেয়ে সেখানেই বসবাস করছেন। এর আগে মানুষের বাড়ি বাড়ি ঘুরে বেড়িয়েছেন। এখন একটা থাকার ঘর হয়েছে। তার নাতি তাদের সঙ্গে থাকে। নতুন শিশুপার্কে খেলাধুলা করে। ১১ নম্বর ঘরে থাকা ইনছার আলী মণ্ডল কমিউনিটি সেন্টার আর শিশুপার্ক পেয়ে বেজায় খুশি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় দুটি পর্যায়ে মোট ১৬৪টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এর ফলে এ উপজেলার ১৬৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষ ২ শতাংশ জমির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ঘর পেয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা দেবী পাল বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে কামারপাড়ায় ২৪টি পরিবারকে একত্রে জমিসহ ঘর প্রদান করা হয়েছে। তাদের শিশুদের মানসিক বিকাশ ও বিনোদনের কথা মাথায় রেখে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিশুপার্ক ও একটি কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া কৃষি বিভাগ থেকে বিভিন্ন শাক-সবজির পুষ্টি খামার গড়ে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি বজ্রনিরোধক হিসেবে বাড়ির চারপাশে তালবীজ রোপণ করা হয়েছে। আজকরে তানোর