সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০২:৪৩ am
নিজস্ব প্রতিবেদক : আমের রাজা খ্যাত সুমিষ্ট ফজলি আম রাজশাহীর ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে। শুক্রবার (২২ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলীম উদ্দীন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) স্বীকৃতির বিষয়টি জানতে পেরেছি। এর আগে গত ৬ অক্টোবর প্রকাশিত শিল্প মন্ত্রণালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব পেটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেড মার্ক তাদের ‘দ্য জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিকেশনের’ (জিআই) ১০ নম্বর জার্নালে এটি প্রকাশ হয়। তাতেই ফজলিকে ‘রাজশাহীর ফজলি আম’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। চূড়ান্ত জার্নাল আরও দুই মাস পর বের হবে। তখন সনদসহ ‘ফজলি আম’ কাগজে-কলমে স্বীকৃত হবে।
তবে এখন থেকেই ‘ফজলি আম’ রাজশাহীর স্বীকৃত স্থানীয় আম হিসেবে পরিচিতি পাবে। যেমনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘ফজলির জিআই স্বীকৃতি পেতে ২০১৭ সালের ৯ মার্চ রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্র থেকে আবেদেন করা হয়। এ জন্য ফজলি আমের ইতিহাস, ঐতিহ্য, স্থানীয় সংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যসহ আমের বিশেষত্ব, চাষাবাদ, বাণিজ্য, ধরন-ধারণ ও প্রকৃতিসহ বিভিন্ন ভৌগলিক বিষয়ে বিস্তর নথি প্রেরণ করতে হয়েছে। এমনকি এটির ‘জিআই’ স্বীকৃতি পেতে প্রতিনিয়তই যোগাযোগ করা হয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাজশাহীর ৯ উপজেলাতেই হয় আম চাষ। তবে রাজশাহীর বাঘায় ফজলির চাষ সবচেয়ে বেশি হয়। যার নিদর্শন রয়েছে ৫০০ বছর আগে নির্মিত বাঘা শাহী মসজিদের দেয়ালে খোচিত ফজলি আমের নকশা।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ২০০ বছর আগেও কলকাতার বাজারে ফজলি আম বিক্রি হতো। সেখানে রাজশাহীর বাঘা অঞ্চল থেকেই যেত ফজলি আম। বাঘা ছাড়াও রাজশাহীর অন্যান্য স্থানেই ফজলির চাষ হয়।
রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলীম উদ্দীন জানান, ফজলি মূলত নাবী মৌসুমী জাতের আম। জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে এটি পাকতে শুরু করে। আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত এটির সংগ্রহকাল। ফল পাড়ার পরে পাকতে ৭-৮ দিন সময় লাগে। মুকুল আসা থেকে ফল পরিপক্ব হতে সময় লাগে প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস। আজকের তানোর