রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৩:২১ am
ক্রীড়া ডেস্ক : সেই নেপালের কাছেই স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের। ৮৭ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে ছিল জামাল-তপুরা। ম্যাচের শেষ মূহুর্তে রেফারির প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্তে পেনাল্টি পেয়ে ম্যাচে ফিরে নেপাল।
এতে ১-১ গোলের ড্রয়ে আবারো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে আরেকটি ব্যর্থতার গল্প লিখল লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। বাংলাদেশের বিপক্ষে ড্র করে প্রথমবারের মত দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হওয়ার প্রতিযোগিতায় ফাইনালে উঠল নেপাল।
মালের ন্যাশনাল ফুটবল স্টেডিয়ামে আজ ম্যাচের শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রিত ফুটবল খেলেছে বাংলাদেশ। তবে ম্যাচের প্রথম দুই মিনিটেই হলুদ কার্ড দেখেন বাংলাদেশের ডিফেন্ডার তপু বর্মন।
ম্যাচের ৯ম মিনিটে সুমন রেজার গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। জামাল ভূঁইয়ার ফ্রি কিক থেকে নেপালি খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে গোলমুখের সামনে যায়। সেখান থেকে দুর্দান্ত এক হেডে নেপালের জালে বল জড়ান বাংলাদেশের সুমন রেজা।
২০১৫ সালে জাতীয় দলে ডাক পান ফরোয়ার্ড জুয়েল রানা। লাল-সবুজ জার্সি গায়ে এটিই তার প্রথম গোল। এই সুমন রেজা গত মাসে কিরগিজস্থান অনূর্ধ্ব-২৩ দলের বিপক্ষে দর্শনীয় দুই গোল করেন। উত্তর বারিধারার হয়ে সদ্য সমাপ্ত লিগে সুমন ছিলেন দেশিদের মধ্যে সর্বোচ্চ গোলদাতা।
ম্যাচের ১৬ মিনিটে সমতায় আসার সুযোগ পেয়েছে নেপাল। কিন্তু এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি নেপালের রোহিত চাঁদ।
ম্যাচের ২২ মিনিটে দারুণ এক সুযোগ নষ্ট করেছে বাংলাদেশ। নেপালের রাজবংশীকে ফাঁকি দিয়ে নেপালের বক্সে ঢুকে যান গোলস্কোরার সুমন রেজা। সেই সময় সুমনের পাসের অপেক্ষায় বক্সে ছিলেন ইব্রাহিমও।
কিন্তু নিজেই শট নিতে গিয়ে এবার লক্ষ্যভেদ করতে পারলেন না সুমন। প্রথমার্ধে আর কোন গোল না হওয়ায় ১-০তে এগিয়েই বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
বিরতির পর রক্ষণে মনোযোগ দেয় বাংলাদেশ। আর নেপাল চালায় অল আউট আক্রমণ। ম্যাচের ৭৮ মিনিটে বাংলাদেশ বড় ধাক্কা খায় গোলকিপার জিকোর লাল কার্ডে। বক্সের বাইরে এসে অঞ্জন বিষ্টার শট ঠেকাতে গিয়ে হাত দিয়ে বল ধরায় রেফারি তাকে লাল কার্ড দেখিয়ে মার্চিং অর্ডার দেন। তার বদলি হয়ে গোলপোস্টে নামেন আশরাফুল ইসলাম রানা।
ম্যাচের ৪ মিনিট বাকি থাকতে নেপালকে বিতর্কিত এক পেনাল্টি উপহার দেন রেফারি। সেই পেনাল্টি থেকে গোল করে ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনেন নেপালের অঞ্জন অঞ্জন বিষ্ঠা। অঞ্জনের শট বুঝতে পেরে ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়েন রানা। কিন্তু উঁচু দিয়ে বল জড়ায় জালে।
ম্যাচের বাকি সময় আর গোল করতে না পারায় ড্র নিয়েই নিয়েই মাঠ ছাড়ে ১০ জনের বাংলাদেশ। ফাইনালে যেতে হলে জিততেই হতো বাংলাদেশকে।