বুধবা, ১১ িসেম্র ২০২৪, সময় : ০৬:২০ am
ইমরান হোসাইন :
রাজশাহীর তানোরে আর মাত্র ৪ দিন পর আসছে ৩০ জানুয়ারি মুন্ডুমালা পৌরসভায় ভোট। নির্বাচনকে ঘিরে মুন্ডুমালা এখন সরগরম। ভোটারদের মন জয়ে ব্যস্ত প্রার্থীরা রাতদিন ছুটছেন এই বাড়ি থেকে ওই বাড়ি ও হাটবাজারের এ দোকান থেকে ওই দোকানে।
স্থানীয় সূত্রমতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথা আ’লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আমির হোসেন আমীনকে পরাজিত করতে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন নৌকার পরাজয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী সাইদুর রহমানকে দাঁড় করিয়েছেন। ফলে রাব্বানী-মামুন ভরে ফুরফুরে ইমেজে সাইদুর। আ’লীগে এমন দৃশ্য অনুভব করে বিএনপির প্রার্থী জয়ের আশা করছেন জামায়াতের ভোটের ওপর ভর করে। এবার জামায়াতের প্রার্থী না থাকায় সমর্থকরা শেষ পর্যন্ত বিএনপির প্রার্থীর দিকে ঝুঁকবেন বলে আশা করছেন ধানের শীষের প্রার্থী ফিরোজ কবির।
সম্প্রতি বিদ্রোহী প্রার্থী সাইদুর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কার করার পরও তার অবস্থান ভাবিয়ে তুলেছে। এনিয়ে নৌকার প্রার্থী বলছেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, স্থানীয় সাংসদ ও দলের অঙ্গ-সংঠনের সকল নেতাকর্মী ছাড়াও ভোটাররা সঙ্গে আছেন। তার বিজয় সুনিশ্চিত।
নির্বাচনের হাওয়ায় পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা। এখানকার বর্তমান মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম রাব্বানী এমপি প্রার্থী ঘোষনা দিয়েছেন। ফলে এবারের নির্বাচনে মেয়রপদে তিনি প্রতিদ্ব›দ্বীতা না করলেও তার মনোনীত বিদ্রোহী প্রার্থী সাইদুর রহমানকে ভিতর থেকে সার্পোট দিয়েছেন। তার সঙ্গে রয়েছেন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন। তবে, এব্যাপারে সভাপতি গোলাম রাব্বানী বলেছেন সাইদুরের পক্ষে ভর করা নয়। আগামীতে আমার সাংসদ নির্বাচন ভেবেই স্থানীয় নির্বাচনে কারও পক্ষে বিপক্ষে নন তিনি।
ফলে আ’লীগের বড় একটি অংশের সার্পোটে পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান ভোটের মাঠ ছাড়েননি। তিনি দলীয় মনোনয়ন চেয়ে নৌকা না পেয়ে জগ প্রতীক নিয়ে মাঠে আছেন। দলীয় সিদ্ধান্ত না মানায় গত (২০ জানুয়ারী) বুধবার তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হলেও রাব্বানী ও মামুন অনুসারী স্থানীয় আওয়ামী লীগের অনেকেরই সমর্থন পাচ্ছেন সাইদুর।
কেউ প্রকাশ্যে, কেউবা গোপনে সাইদুরের পক্ষে দাঁড়াচ্ছেন। এ অবস্থায় বিএনপির একক প্রার্থীর বিপক্ষে আওয়ামী লীগের দুজন প্রার্থী হওয়ায় ভোটাররাও বিভক্ত এমনটাই বলছেন স্থানীয় ভোটাররা। এ অবস্থায় বিএনপি দলীয় মেয়রপ্রার্থী সুবিধাজনক অবস্থায় আছেন বলেই দাবি করছেন।
বিএনপি দলীয় প্রার্থী ফিরোজ কবির বলেন, আগের নির্বাচনে দ্বিতীয় হয়েছিলাম। এবার মাঠ ভালো আছে। গতবার ১৫শ ভোটে হেরেছিলাম। আমার সঙ্গে গতবার জামায়াত ছিল না। এবার আমি একাই জামায়াত ও বিএনপির প্রার্থী।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাইদুর রহমান বলেন, আমি আওয়ামী লীগের পৌর সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম। নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। এরপরও সভাপতি রাব্বানী ও সম্পাদক মামুন অনুসারী স্থানীয় আওয়ামী লীগের অনেকেরই সমর্থন পাচ্ছেন তিনি। আশা করছি বিপুল ভোটে জয়ী হব।
তবে, আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী আমির হোসেন আমিন বলেন, আমি অনেক নির্বাচন করেছি। ২৫ বছর ধরে মানুষের সেবায় আছি। সর্বপ্রথম মেম্বার (ইউপি সদস্য) ছিলাম। এরপর পৌরসভার শুরু থেকে তিন বারের কাউন্সিলর। দুই বারের প্যানেল মেয়র। আমি আ’লীগের মুন্ডুুমালা পৌরসভার সাধারণ সম্পাদক। মাঠ ভালো আছে। আমার কোনো বদনাম নেই। মানুষ আমাকে ফেলে দেবে না। বিপুল ভোটে পাশ করব আশা করছি।
প্রসঙ্গত, তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পৌরসভা ২০০২ সালের ১৪ নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়। এ পৌরসভায় মোট ভোটার ১৭ হাজার ৬৯৬ জন।