রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:২০ am
ক্রীড়া ডেস্ক : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ক্রিকেট মাঠে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে অনুষ্ঠিত হবে প্রতিযোগিতাটির সপ্তম আসর। এমনটাই নিশ্চিত করেছেন বিসিবি গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক। আসন্ন বিপিএলে স্বল্প আকারে মাঠে দর্শক প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়ার কথাও ভাবছে ক্রিকেট বোর্ড।
আইপিএলের পর বাংলাদেশের ফ্রাঞ্চইজি ক্রিকেট তথা বিপিএলের আবিষ্কার ২০১২ সালে। বিপিএলের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত নিয়মিত আসর আয়োজন হলে এ বছর হতো বিপিএলের দশম আসর। কিন্তু নানা ঘাত-প্রতিঘাতে মাঠে গড়ায়নি তিনটি আসর। ২০১৪ সালে মোহাম্মদ আশরাফুলের ফিক্সিংকাণ্ডে বিপিএল আয়োজন করা হয়নি। এরপর ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে পিছিয়ে যায় টুর্নামেন্টের দিনক্ষণ।
গত বছর করোনাভাইরাসের কারণে প্রভাবে বিপিএল আলোর মুখ দেখেনি। এসব মিলিয়ে ১০ বছরে তিনটি আসর বাতিল হওয়ায় আয়োজকরা পড়েছেন প্রশ্নের মুখে। বিপিএল নিয়মিত আয়োজনে ভবিষ্যতের ভাবনাটা কি? এ সম্পর্কে ইসমাইল হায়দার সময় সংবাদকে বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ থাকবেই। এটা যে শুধু বিপিএলেই এমনটা না। প্রত্যেকটা ঘরোয়া টুর্নামেন্ট আয়োজন করাও চ্যালেঞ্জের। আমরা দৃঢ়ভাবে আশাবাদী যে বিপিএলের জন্য সময় বের করতে পারব।’
তবে আগামী বছর বিপিএল আয়োজনের পরিকল্পনা ক্রিকেট বোর্ডের। জাতীয় দলের ব্যস্ত সূচির ফাঁকেই হবে এই টুর্নামেন্ট। ইসমাইল হায়দার জানান, ‘যত দিন যাচ্ছে ততই ফিক্সশ্চার নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে। বাংলাদেশের দলের দুই বছর আগে যে খেলা ছিল এখন দেশে আর দেশের বাইরে তিন-চার গুণ বেশি খেলা হয়। যেহেতু জাতীয় দলের খেলোয়াড় ছাড়া টুর্নামেন্ট আয়োজন করা সম্ভব না। তাই উইন্ড বের করা আমাদের জন্য কঠিন।’
অদৃশ্য শত্রু করোনার প্রভাবে দর্শক ছাড়াই সবশেষ চারটি হোম সিরিজ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ। তবে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকলে বিপিএলে সীমিত আকারে গ্যালারিতে দর্শক ফেরানো হবে বলেও জানা গেছে। দর্শকদের নিয়ে মল্লিক বলেন, ‘আমার তো চাওয়া থাকবে মাঠে দর্শক থাকুক। তবে জীবনের আগে খেলা না।
জীবনটাকে আগে প্রাধান্য দিতে হবে। এরপর বাকি সবকিছু।’ বিপিএলের সবশেষ ২০১৯-২০ আসর আয়োজন করা হয়েছিল তিনটি শহরের তিনটি ভেন্যুতে। তবে এবার ঢাকা ও চট্টগ্রামেই খেলা সীমিত রাখার কথা ভাবছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ। আজকের তানোর