রবিবর, ১০ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৩:৫৯ am
নিজস্ব প্রতিবেদক : বরেন্দ্র অঞ্চলে সৌর বিদ্যুতে পাম্প চলিয়ে জমিতে সেচ দেওয়ার উদ্দ্যেশে শুরু করেছে বিএমডিএ। এতে লোডশেডিং এর কারনে পাম্প চালনোর ভয় থাকছে না কৃষদের মাঝে। সৌর বিদ্যুৎ চলতে পাম্পগুলো বিএমডিএ খাল বা নদী থেকে পানি তুলে পৌঁছে দিচ্ছে কৃষকের জমিতে।
কৃষকদের শুষ্ক মৌসুমে ভূ-গর্ভস্থ পানির উপর চাপ কমানোর এবং ভূ-পৃষ্ঠের ওপরের উৎস থেকে পানি সেচের উদ্দেশ্যে পুঠিয়া উপজেলার নরদ নদীর উপর এ সোলার পাম্প বসানো হয়। যাতে এলাকার কৃষকেরা সহজে ও কম খরচে খাড়িতে বা নদীতে জমে থাকা পানি ব্যবহার করে কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে।
সেই কারণে পুঠিয়া উপজেলার নারদ নদীতে ১৩ টি সোলার পাম্প বসানো হয়। সোলার পাম্পগুলি পুঠিয়া সদর ইউনিয়নের কান্দ্রা গ্রামের নারদ নদীতে বসানো হয়েছে। বাঁকি পাম্পগুলো নরদ নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট বসানো হয়েছে যা ভালুকগাছি ইউনিয়নের কান্তার বিলে গিয়ে শেষ হয়েছে। গত ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে প্রতেকটি ২৫ লক্ষ টাকা ব্যায়ে সোলার পাম্পগুলি বসানো হয়।
বর্তমানে সোলার পাম্পগুলির মধ্যে ১০টি চালু করা সম্ভব হয়েছে। বাঁকি ৩টি চলছে কোন মতে। এসব সোলার পাম্পের মাধ্যমে শুষ্ক মৌসুমে দেড় থেকে দুই’শ বিঘা জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব। শুষ্ক মৌসুমে নদীতে পানি কমে যাওয়ার কারণে সোলার পাম্পগুলি অকার্যকর হয়ে পড়ে থাকে।
উপজেলার পলাশবাড়ি গ্রামের কৃষক কলিম উদ্দিন বলেন, বেশ কয়েক বছর থেকে আমাদের এলাকার সোলার পাম্পটি কোন কাজে লাগেনা। কোন দিন পাম্পটি চালু করতে দেখিনি। তবে পাম্পটি চালুর জন্য একাধিক কৃষকেরা দাবি জানিয়েছেন।
প্রকৌশলী আল মামুন বলেন, প্রভাবশালীরা বিড়ালদহ নারদ নদীতে প্রায় ১ কিলোমিটার বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করায় পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এছাড়াও সোলার পাম্পগুলি চালু করার সময় প্রায় আধা ঘন্টা প্রাইমিং করতে হয়। প্রাইমিং এর সময় কৃষকদের অপেক্ষা করতে হয়। এ কারণে এলাকার কৃষকদের মধ্যে সোলার পাম্পগুলি চালুতে আগ্রহ নেই বললেই চলে।
সোলার পাম্পটি চালু রাখার জন্য কৃষকদের নিয়ে আমার অফিসে মিটিং করে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এছাড়াও আমি নিয়মিত এলাকার কৃষকদের সাথে যোগাযোগ করে থাকি। তবে এলাকার কৃষকেরা আমাকে সহযোগিতা করেনা বলে এ কর্মকর্তা জানান। আজকের তানোর