শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৫:৫২ am
ডেস্ক রির্পোট : কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম তানভীর আরাফাতের উদ্দেশে হাইকোর্ট বলেছেন, পুলিশের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে নাগরিকের সুরক্ষা দেওয়া; সে যে–ই হোক না কেন। কুষ্টিয়ায় যে পরিবেশ বিরাজ করছে, পত্রপত্রিকায় যেভাবে এসেছে, তা যদি বাস্তব চিত্র হয়, এটি হবে ভয়ংকর।
২০ জানুয়ারি আদালতের নির্দেশ অনুসারে আজ সোমবার সকালে এসপি তানভীর আরাফাত উপস্থিত হন। বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ বেলা পৌনে ১১টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী শুনানি চলে। আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে পুলিশের এই কর্মকর্তা নিঃশর্ত ক্ষমার আরজি জানান।
আদালত কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপারে উদ্দেশে আরও বলেন, ‘কে কোন দল, মত, আদর্শের উত্তরাধিকার, এটা বিবেচ্য বিষয় আপনার নয়। কথায় পটু হলে চলবে না, কাজে পটু হতে হবে।’
হাইকোর্ট বলেন, ‘পুলিশ কর্মকর্তা ও জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আপনার নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। আপনার কার্যক্রমের মাধ্যমে সবকিছুর সমন্বয় সাধন করে কুষ্টিয়ায় শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করবেন, যাতে পুলিশ ভীতিকর না হয়ে বন্ধু হয়। আপনাদের মূলমন্ত্র দুষ্টের দমন শিষ্টের লালন। আপনাকে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। আপনি রাষ্ট্রপতি পদক পেয়েছেন। এর মর্যাদা রক্ষা করা আপনার নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।’
পুলিশ সুপারের প্রতি হাইকোর্ট আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রের অঙ্গগুলোর (তিনটি বিভাগ) মধ্যে সমন্বয়সাধন করে কাজ করাকেই দক্ষতা বলে। এমন যাতে না হয়, একটি পুলিশি রাষ্ট্র কায়েম হয়ে গেছে, মানুষ সেই ধারণা করতে পারে। জাতি উৎকণ্ঠিত। এ অবস্থা নিরসনের দায়িত্ব আপনাদেরই। আপনারা অনেক ভালো কাজ করেন। তাই কথায় পটু না হয়ে কর্মে পটু হোন। তাতে উদ্দেশ্যসাধনে আপনি সফল হবেন।’
আদালতে পুলিশ সুপারের পক্ষে শুনানি করেন মুনসুরুল হক চৌধুরী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শফিকুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাহিরুল ইসলাম।
শুনানিতে এসপির পক্ষে মুনসুরুল হক চৌধুরী বলেন, ‘ঘটনা ঘটে গেছে। সেখানে আমার (এসপির) ভুল হয়েছে স্বীকার করছি। অপরাধ করেছি। অতীতে তাঁর (এসপির) এমন কোনো রেকর্ড নেই। এমন ভুল ভবিষ্যতে হবে না। ভবিষ্যতে দায়িত্ব পালনে আরও সতর্ক থাকব বলে অঙ্গীকার করছি।’
সূত্র : প্রথমআলো। আজকের তানোর