রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০২:২০ pm
স্বামীর বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফির মামলা করেছেন এক তরুণী। পুলিশ সেই স্বামীকে আটক করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার ভালুকগাছি ইউনিয়নের পানানগর গ্রামে। মামলার বাদী স্ত্রীর বাড়ি নওগাঁ জেলার আত্রাই থানার সমেসপাড়া গ্রামে।
তবে নাম প্রকাশ না করা শর্তে থানার একজন উপপরিদর্শক বলেন, এর আগেও ওই নারী দুটি বিয়ে করেছেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই নারী একটি প্রতারক চক্রের সঙ্গে জড়িত। চক্রটি হয়তো এই নারীকে দিয়ে বিয়ের নামে কৌশলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এ বিষয়টিও বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, যেহেতু সেলফোনে কিছু আপত্তিকর ভিডিওসহ মামলা করা হয়েছে, সেই সূত্রে স্বামীকে আটক করা হয়েছে।
মামলার বাদী ওই নারী বলেন, সেলফোনে দুইমাস আগে তাঁর (বর্তমান স্বামী) সঙ্গে আমার প্রেমের সস্পর্ক গড়ে ওঠে। সে সূত্রে আমরা গত ২৬ আগস্ট ঢাকায় একটি কাজি অফিসে বিয়ে করি। এরপর আমরা পুঠিয়াতে চলে আসি। সম্প্রতি স্বামী সঙ্গে বনিবনা না হওয়া আমি আবার ঢাকায় চলে যাই। সেখানে একজনের সঙ্গে আমার বিয়ের কথা চলছিল। আর তিনি ওই ছেলের সেলফোনে আমাদের আপত্তিকর ভিডিও পাঠিয়ে দেন। সে কারণে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছি।
বর্তমান স্বামীর সঙ্গে তালাক না হতেই আরেক জনের সঙ্গে কীভাবে বিয়ে হচ্ছে এমন প্রশ্নে ওই নারী বলেন, এটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়।
আর কৌশলে অর্থ হাতিয়ে নিতে একাধিক বিয়ে করার অভিযোগ তুলেছেন স্বামীর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই নারী কোনো উত্তর না দিয়ে পরে কথা বলবেন বলে থানা থেকে বের হয়ে যান।
মামলার আসামি ওই নারীর স্বামী বলেন, আমি আগে জানতাম না এটা একটি চক্র। আর আমি ওই নারীকে বিয়ে করে প্রতারণার শিকার হয়েছি। এই নারীর সঙ্গে বড় একটি চক্র আছে। তারা বিয়ের নামে জিম্মি করে অর্থ হাতিয়ে নেয়।
তিনি বলেন, আমার জানামতে প্রবাসীসহ তিন-চারটি বিয়ে করেছেন তিনি। কৌশলে সবার কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। আর স্বামী-স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হবে এটা স্বাভাবিক। আর আমার বিরুদ্ধে ভিডিও ছড়ানোর বিষয়ে থানায় মামলা করা হয়েছে। সে বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না। তবে বিয়ের এক সপ্তাহ না যেতেই ওই নারী আমার কাছে তালাক চান। সঙ্গে দেনমোহর ও দুই বছরের খোরপোষ বাবদ ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। তাঁর চাহিদা মতো টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তিনি এখন ষড়যন্ত্র করছেন।
এ ব্যাপারে থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে ওই নারী বাদী হয়ে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেছেন। আমরা মামলা অনুসারে তাঁর স্বামীকে আটক করেছি। তবে বিষয়টি রহস্যজনক মনে হলেও সঠিক তদন্ত ছাড়া কিছুই বলা যাচ্ছে না। এরই মধ্যে ওই নারীর ব্যক্তিগত বিষয়গুলো জানতে বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তরুণীর (২২) প্রেমে পড়ে কোনো খোঁজখবর না নিয়েই বিয়ে করেন যুবক (৩০)। আর বিয়ের এক সপ্তাহ না যেতেই স্ত্রী কৌশলে দুজনের আপত্তিকর দৃশ্য সেলফোনে ধারণ করেন। এরপর স্বামীর ফোন ব্যবহার করে তাঁর কয়েকজন বন্ধুর কাছে সেই ভিডিও পাঠিয়ে দেন। এরপর স্বামীকে মামলার ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। স্বামী টাকা দিতে অস্বীকার করেন। মূলত এর পরই স্ত্রী স্বামীর বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন। আজকের তানোর