রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৫:৩৪ am
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী তানোর উপজেলায় গতকাল শুক্রবার আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের পর এ উপজেলায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করেছে। এ ঘটনায় তানোর বাজার এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে কোনো পক্ষই থানায় মামলা বা লিখিত অভিযোগ দেয়নি। সংঘর্ষের ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে, আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের আহ্বানে তানোর পৌরসভা প্রাঙ্গণে তাঁর অনুসারীদের প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। কিন্তু পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। একই সময়ে স্থানীয় এমপি অনুসারী নেতাকর্মীরা তানোর থানা মোড়ের জিরোপয়েন্টে জড়ো হলে তাঁদেরও ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ।
সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক অনুসারী নেতাকর্মীদের নিয়ে পৌরসভার কাশিমবাজার মোড়ে প্রতিবাদ সভা করেন।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, আগামী ১১ নভেম্বর তানোর উপজেলা সাতটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচন উপলক্ষে ১ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে ৫টায় তানোর উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাত ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সেই সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সভায় রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও তানোরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা একরামুল হক ছাড়াও প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী।
এ বিষয়ে শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তাঁরা জবাব দেননি।
তানোর থানার ওসি রাকিবুল হাসান বলেন, মারামারির ঘটনায় কোনো পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দেননি। তবে দুই পক্ষ একই সময়ে প্রতিবাদ সভা আহ্বান করায় তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কেউই এই সভা করার জন্য অনুমতি নেননি। এখন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাজশাহীর তানোর উপজেলায় আসন্ন সাতটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য বিশেষ বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সমর্থিত অন্তত ১২ জন নেতাকর্মী আহত হন।