শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:৫১ am
আশরাফুল ইসলাম রনজু, তানোর :
রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়রপ্রার্থী নৈশপ্রহরী সাইদুরের বিরুদ্ধে হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আগামী ৩০ জানুয়ারী এ পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ফলে মেয়রপদে আ’লীগ-বিএনপি ও বিদ্রোহী সাইদুর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
এতে করে তথ্য গোপনের অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইদুরের প্রার্থীতা বাতিল করা হতে পারে বলে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। এছাড়াও সাইদুর নির্বাচনী হলফনামায় তার সম্পদের হিসাব সঠিক ভাবে না দিয়ে তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দিয়েই হলফনামা নির্বাচন অফিসে দাখিল করেছেন।
এমনকি স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইদুর রহমান হলফনামায় তার স্ত্রী সন্তান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কথা গোপন করেছেন। এছাড়াও মেয়র গোলাম রাব্বানী সাইদুরের সাথে আতাঁত করে মুন্ডুমালা পৌরসভার প্রায় আড়াই কোটি টাকার রাস্তার কাজ না করে পৌরসভার ফান্ড থেকে সব টাকা উত্তলন করে নিয়েছেন বলেও অভিযোগে উঠে এসেছে। জানা গেছে,
স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইদুর রহমান তার নির্বাচনী হলফনামায় বলেছেন, তার কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নেই। তার স্ত্রীর ১০ ভরি স্বর্ণ অলংকার রয়েছে। ছেলে মেয়ের নামে কোন সম্পদ নেই। তার মাসিক আয় মাত্র ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। যা পুরোটাই মিথ্যা বানোয়াট তথ্য প্রদান করা হয়েছে।
জনসাধারণের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, যদি সাইদুরের তেমন আর্থিক অবস্থা ভালো না হয় তাহলে সে কিভাবে দিনরাত জিপ গাড়িতে চড়ে চলাফেরা করে থাকেন। এছাড়াও ৫ তলা ফাউন্ডেশনের বাড়িতে বাস করেন। কি প্রয়োজন দুইটি মোটর সাইকেল। স্ত্রীর সম্পদ না থাকলে তার স্ত্রী কিভাবে রাজশাহী জেলার সর্বোচ্চ আয়কর দাতা হন তা নিয়ে বইছে জনগণের মধ্যে আলোচনা সমালোচনার ঝড় ।
অন্যদিকে, মুন্ডুমালা পৌরসভার মেয়র গোলাম রাব্বানী তার অনুগত সাইদুরকে দিয়ে বিগত ১০ বছর ধরে পৌরসভার যত টেন্ডারের কাজ সবই সাইদুরকে দিয়ে করিয়েছেন। ফলে, একজন দিনমজুর কুলি থেকে কোটিপতি বনে যান সাইদুর।
অথচ সাইদুর একজন অঢেল সম্পদের মালিক হয়ে নির্বাচনী হলফনামায় এতোকিছু গোপন করে মিথ্যা তথ্য জমা দিয়ে সে কিভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন। না অবৈধ সুবিধা নিয়ে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাইদুরকে নির্বাচন করার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। এসব কিছু জানতে চান সচেতন মহল সহ মুন্ডুুমালা পৌরসভার জনগণ।
মুন্ডুুমালা পৌরসভার রাস্তার উন্নয়নে আশা প্রকল্পের বিষয়ে পৌরসভার সচিবের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, কাজ করার জন্য ইট বালু খোয়া ফেলা হয়েছে। কিন্তু কাজ করার আগেই মেয়র ও ঠিকাদার মিলে ফান্ডে থেকে সব টাকা উত্তোলন করে নেওয়ায় এখন রাস্তার কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। কাজ শেষ করার আগেই পুরো টাকা উত্তোলন করা যায় নি কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, পৌরসভার মালিক মেয়র সাহেব তিনি যা করবেন তাই হবে। এখানে আমার কোন দাম নেই। যখন খুশি ইচ্ছে মত ফান্ডের টাকা উত্তলন করেন মেয়র সাহেব বলে জানান তিনি।
এবিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইদুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করে এড়িয়ে যান। মুন্ডুমালা পৌর মেয়র গোলাম রাব্বানীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করাই তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।