রবিবর, ১০ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৫:২৩ am
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌরসভার মেয়র পদে উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে পৌরসভার ৬, ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে সাবেক মেয়রের স্ত্রী ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জান্নাতুল ফেরদাউসকে প্রচার চালাতে দেয়া হচ্ছে না। ছিড়ে ফেলা হয়েছে সব পোস্টারও। এছাড়াও তার ৫৭ সমর্থকের নামে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী মেয়র প্রার্থী বৃহস্পতিবার সকালৈ রাজশাহী নগরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেন।
স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জান্নাতুল ফেরদাউস পৌরসভার প্রয়াত মেয়র মনিরুল ইসলামের স্ত্রী। আওয়ামী লীগের নেতা মনিরুল ইসলাম পৌরসভার টানা দুইবারের মেয়র ছিলেন। এবার নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হয়েছেন গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস। পঞ্চমবারের মতো মেয়র প্রার্থী হয়েছেন তিনি। আগের চারবারের প্রতিবারই হেরেছেন।
প্রয়াত মেয়র মনিরুল ইসলাম প্রথমবার দলীয় মনোনয়ন পেয়েই মেয়র হয়েছিলেন। তবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পাননি। তাই ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হয়ে মেয়র হন। এর দুই মাসের মাথায় তিনি ভারতে চিকিৎসা নিতে গিয়ে মারা যান। শূন্য পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
নির্বাচনে প্রয়াত মেয়রের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদাউস আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তাঁর প্রতীক নারকেলগাছ। ভোট গ্রহণ আগামী ৭ অক্টোবর।
সংবাদ সম্মেলনে জান্নাতুল ফেরদাউস বলেন, এলাকার মানুষ তাঁর স্বামীকে খুব ভালোবাসতেন। এলাকার মানুষের ইচ্ছায় তিনি ভোটে দাঁড়িয়েছেন। এখন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাসের সমর্থকেরা তাঁকে প্রচার চালাতে দিচ্ছেন না। তাঁর তিনটি মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সব ওয়ার্ডে লাগানো পোস্টার নামিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উল্টো হয়রানি করতে তাঁর ৫৭ জন সমর্থকের নাম উল্লেখ করে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। এতে অভিযোগ করা হয়েছে, তাঁর সমর্থকেরা নাকি আওয়ামী লীগের প্রার্থীর একটি নির্বাচনী কার্যালয় পুড়িয়ে দিয়েছেন। এখন পুলিশ তাঁর কর্মীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে। ভয়ে কেউ তাঁর সঙ্গে মাঠে নামতে পারছেন না।
এ বিষয়ে অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাসের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল মালেক বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাঁরা স্বাচ্ছন্দ্যে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। সরেজমিন কেউ এলে এর প্রমাণ পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, যাঁদের নামে মামলা হয়েছে, তাঁরা কার সমর্থক সেটা বড় কথা নয়; তাঁরা ভোটকেন্দ্র ও নৌকার কর্মীদের মোটরসাইকেল পোড়ানো মামলার আসামি। এ রকম ঘটনা ঘটলে তো মামলা একটা হবেই।
গোদাগাড়ী থানার ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, ‘হয়রানি করা হচ্ছে, এমন অভিযোগ সত্য নয়। যাঁদের নামে মামলা হয়েছে শুধু তাঁদেরই গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আর নির্বাচনের পরিবেশ খুব ভালো। কোথাও কোনো সমস্যা তো এখন পর্যন্ত দেখছি না।’
এই উপনির্বাচনে আরও দুজন মেয়র প্রার্থী আছেন। তাঁরা হলেন মোবাইল ফোন প্রতীকের প্রার্থী বিএনপি নেতা গোলাম কিবরিয়া ও জগ প্রতীকের প্রার্থী জামায়াত নেতা আমিনুল ইসলাম। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় জামায়াত অবশ্য আমিনুল ইসলামকে বহিষ্কার করেছে। তিনি এই পৌরসভার সাবেক মেয়র। আজকের তানোর