শুক্রবার, ২০ েপ্টেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:০৭ am

সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাবিতে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিখোঁজের সাতবছর পর ছেলেকে ফিরে পেলেন উচ্ছ্বসিত মা তানোরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত রাসিকের সাবেক কাউন্সিলর মনসুরের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন সেই রুবেল আরও ৭ দিনের রিমান্ডে সিলেবাস সংক্ষিতের দাবিতে রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ শেষে সমাবেশ পবায় উপজেলা প্রশাসনে ও কাটাখালি পৌরসভায় ভোগান্তি চিত্র নায়িকা পরীমণি পালন করলেন ‘বিবাহ বিচ্ছেদ’ দিন এক দফা দাবিতে রাজশাহীতে নার্সদের মিছিল শেষে মানববন্ধন প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) বিশ্ববাসীর জন্য রহমত : দুধরচকী রাজশাহীতে শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ডলার সংকটে বাংলাদেশকে সার দিচ্ছে না সরবরাহকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের নাগরিক সংবর্ধনা বাতিল রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বিচারিক ক্ষমতা পেলো সেনাবাহিনী আন্দোলনের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করলেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ বাগমারায় অধ্যক্ষ ও সভাপতির অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টি গুজব : আসিফ মাহমুদ একদিনের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা রাজশাহী আসছেন আজ বাংলাদেশ ও ভারত ভিসা জটিলতায় চার যৌথ সিনেমা একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির শাহরিয়ার কবির আটক
মোহনপুরের ঘাসিগ্রাম ইউপি নির্বাচনে মাঠে নেমেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা

মোহনপুরের ঘাসিগ্রাম ইউপি নির্বাচনে মাঠে নেমেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী ইউপি নির্বাচনে মোহনপুর উপজেলার ঘাসিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগাম সম্ভাবনাই আলোচনায় এসেছেন আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী এবং বিএনপি’র এক প্রার্থী। এদের মধ্যে একজন হলেন ২০১৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান ঘাসিগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম বাবলু এবং ২নং ঘাসিগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোবারক আলী সরকার।

অপর প্রার্থী হলেন জাফর ইকবাল গত নির্বাচনে যিনি বিএনপির মনোনিত প্রার্থী ছিলেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমান চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম বাবলু ইউনিয়নের মহিষকুন্ডি গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে যিনি গত নির্বাচনে ৪৮৬৫ ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছিলেন। নির্বাচিত হয়ে ইউনিয়নে চোখে পড়ার মতো উন্নয়নমূলক অনেক কাজ করেছেন। আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, আমি গতবার ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছি এবং বিজয়ী হওয়ার পর থেকে এ ইউনিয়নে অনেক উন্নয়ন মূলক কাজ করেছি।

আগামী নির্বাচনে এবারো দলীয় মনোনয়ন আমি পাবো, নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবো ইনশাআল্লাহ। আমার ইউপিতে অসমাপ্ত যে কাজগুলো আছে সেই কাজগুলো সমাপ্ত করবো । এই ইউনিয়নের জনসাধারণ গতবার আমাকে যেভাবে ভোট দিয়েছিলেন এবারও ঠিক একইভাবে ভোট প্রদান করবেন বলে আমি মনে করি। আমি প্রায়ই ২৫ বছর যাবত ২নং ঘাসিগ্রাম ইউপি আওয়ামী লীগের থানা কমিটির সদস্য এবং দলকে শক্তিশালী করার জন্য আমি সর্বদাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছি।

এদিকে, আগামী ইউপি নির্বাচনে একই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সমর্থিত মনোনয়ন পেতে চান মোবারক আলী সরকার। তিনি দলিল লেখক এবং ইউনিয়নের আত্রাই গ্রামের মৃত ফারাতুল্লাহ সরকারের ছেলে। আগামী নির্বাচন বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, এবারের নির্বাচনে ইউনিয়নের মানুষ চেয়ারম্যান হিসেবে নতুন মুখ দেখতে চাচ্ছে। আমি জন্মগতভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত এবং ২ নং ঘাসিগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি। আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সমর্থিত স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে সর্বদায় সক্রিয় থাকি ও আর্থিক সহযোগিতা করি।

তাই আগামী ইউপি নির্বাচনে আমি যদি ঘাসিগ্রাম ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন পায় তাহলে অবশ্যই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো এবং এ ইউনিয়নের ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করবো। এ ইউনিয়নের অসংখ্য জনসাধারণের সাথে কথা বলে দেখেছি এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে তারা আমাকেই চাই। আমার বিশ্বাস জনগনের চাওয়ায় জননেত্রী আমাকে নৌকার মনোনয়ন দিয়ে নির্বাচন করার সুযোগ করে দিবেন। আপনি যদি দলীয় মনোনয়ন না পান এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যাকে পছন্দ করে মনোনীত করবে আমি তার হয়ে নির্বাচনে কাজ করবো।

অপরদিকে বিএনপি সমর্থিত মনোনয়ন নিয়ে আগামী ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চান একই ইউনিয়নের আতানারায়ণপুর গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুন্নবী দেওয়ানের ছেলে জাফর ইকবাল। গত দুই নির্বাচনে তিনি বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। বর্তমানে তিনি আতানারায়নপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত এবং ঘাসিগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপি’র সহ-সভাপতি। আগামী ইউপি নির্বাচন বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, আমার দাদা মৃত সাবের আলী দেওয়ান এ ইউনিয়নে প্রেসিডেন্ট তথা চেয়ারম্যান ছিলেন।

আমার বাবা নূরনবী দেওয়ান এই ইউনিয়নের দুই দুইবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। আমি নিজে এই ইউনিয়নে গত দুইবার নির্বাচনে বিএনপি’র মনোনীত প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিলাম। এখানে যদি নিরোপক্ষ নির্বাচন হতো তাহলে আমি বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হতাম। আগামী ইউপি নির্বাচনে দল চাইলে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো। আর যদি দল না চাই তাহলে আমিও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো না।

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.