বৃহস্পতিবর, ২১ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:০৮ pm

সংবাদ শিরোনাম ::
তানোরে শিক্ষক সমিতিকে নিজ পকেটে রাখতে মরিয়া বিএনপি নেতা মিজান অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার পক্ষে লড়তে চান জেড আই খান পান্না নগরীতে বিএনপি নেতাকে ছুরিকাঘাত আগামী ২৯ নভেম্বর খুলছে রাজশাহী সুগার মিল জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের স্মরণে স্মরণসভা রাজশাহীতে যুবলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ১১ বাগমারা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবু তালেবের ইন্তেকাল তানোরে মসজিদের এসি অফিসার্স ক্লাবে, ইমামের অর্থ আত্নসাৎ প্রমান পেয়েছে তদন্ত কমিটি সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তানোরে বিএনপির কর্মীসভা নগরীতে ছাত্রলীগ নেতাসহ বিভিন্ন অপরাধে ৮ জন গ্রেপ্তার লীজকৃত পুকুর দখল, মালিককে বুঝিয়ে দিতে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ পুঠিয়ায় ভুয়া ডাক্তার ধরে প্রাননাশের হুমকির মুখে সাংবাদিকরা রাজশাহী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দুর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন তানোর থানায় দালালের দৌরাত্ন্য বৃদ্ধি, অসহায় মানুষ দুর্গাপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে আটক ৩ জনের কারাদণ্ড গ্রাহকের ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, বন্ধু মিতালীর চেয়ারম্যানসহ আটক ৪ রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে আ.লীগকে দূরে রাখতে ছাত্রনেতাদের চাপ অর্ন্তবর্তী সরকারকে নিরপেক্ষ না হওয়ার আহ্বান বিএনপি নেতাদের তানোরে সরকারি কর্মকর্তা ও সুধীজনদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সাম্প্রতিক সময়ে অটোরিকশা বন্ধের দাবিতে সচেতন নাগরকবাসী
পুঠিয়া থানার সাবেক ওসি সাকিলের বিরুদ্ধে দুদুকে মামলা

পুঠিয়া থানার সাবেক ওসি সাকিলের বিরুদ্ধে দুদুকে মামলা

সাহিন সাগর, নিজস্ব প্রতিবেদক :
হত্যা মামলা পরিবর্তেনের অভিযোগে রাজশাহীর পুঠিয়ার থানার সাবেক ওসি সাকিল উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ (২৪ জানুয়ারী) রোববার দুদকের রাজশাহী জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক আল আমিন বাদি হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নম্বর ১ তারিখ-  চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী।
আল আমিন বলেন, দুদকের তদন্তে পুঠিয়ার নূরুল ইসলাম হত্যার এজাহারে আসামীর নাম ও বিবরণে পরিবর্তনের প্রমান মেলেছে। এরপর ওসি সাকিল উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত হয়। ওসি সাকিল কারসাজি করে এজাহারে আটজনের বিরুদ্ধে ছয়জনকে আসামী এবং বর্ণনার পরিবর্তন আনেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, রাজশাহীর ই/আর নং ৪৫/২০১৯ এর অভিযোগ অনুসন্ধান সংক্রান্তে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, জনৈক নূরুল ইসলাম রাজশাহী জেলার পুঠিয়া থানার সড়ক ও পরিবহন মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গত বছরের ২৪ এপ্রিল অনুষ্ঠিত শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচনে তিনি পুনরায় সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দিতা করেন এবং সর্বোচ্চ ভোট প্রাপ্ত হন।
কিন্তু উক্ত নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফলাফল পরিবর্তন করে আব্দুর রহমান পটলকে সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করেন। নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ করে নূরুল ইসলামসহ অপর তিনজন বাদী হয়ে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া সহকারী জজ, ১ম আদালতে ০৮ জনকে বিবাদী করে একটি নির্বাচনি মোকাদ্দমা নং ১৪/২০১৯ দায়ের করেন।
উক্ত মোকদ্দমাটি শুনানীঅন্তে সংশ্লিষ্ট আদালত বিবাদীগণের বিরুদ্ধে পুঠিয়া থানা সড়ক ও পরিবহন মটর শ্রমিক ইউনিয়নের নবনির্বাচিত কমিটির সমস্ত কার্যক্রমের উপর নিষেধাজ্ঞা ও কারণ দর্শানোর আদেশ প্রদান করেন। বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক উক্ত অন্তবর্তী নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রচারিত হলে উক্ত মামলার বিবাদী মোঃ আব্দুর রহমান পটল এবং তার সহযোগীরা নুরুল ইসলামকে বিভিন্নভাবে জীবন নাশের হুমকি প্রদান করেন।
এঅবস্থায় গত বছরের ১০ জুন সন্ধ্যা হতে নুরুল ইসলামের কোন সন্ধ্যান পাওয়া যাচ্ছিল না।
পরদিন ১১ জুন সকাল আনুমানিক ১০ ঘটিকার সময় নুরুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন, নুরুল ইসলামের মরদেহ পুঠিয়া এ.এস.এস. ইট ভাটার মধ্য পড়ে আছে। মৃত নূরুল ইসলামের কন্যা নিগার সুলতানা ঐ দিন দুপুর আড়াইটার দিকে একটি হত্যা মামলা দায়ের করার জন্য পুঠিয়া থানায় যান এবং তার ভাষ্যমতে তার পিতার হত্যার সাথে জড়িত ৮ জন আসামী করে এজাহার দায়ের করেন।
আসামীরা হলেন, ১) মোঃ আঃ রহমান পটল (৫৫), পিতা- মৃত আশ্রাফ আলী, সাং- ঝলমলিয়া; ২) মোঃ আহসানুল হক মাসুদ ওরফে নেতা মাসুদ (৪৮), পিতা-মৃত সিরাজ, সাং-ঝলমলিয়া; ৩) মোঃ মিঠু ওরফে গুন্ডা মিঠু, (২৮), পিতা- হাসান, সাং- কানাইপাড়া; ৪) মোঃ গোলাম ফারুক (৫৫), পিতা- ডাঃ কছিমুদ্দিন, সাং- রামজীবনপুর; ৫) মোঃ কে এম শাহীন (৬০), পিতা- মৃত দুলাল, সাং- ঝলমলিয়া; ৬) মোঃ নুরুল আমিন (৫৫), পিতা- মৃত কাচু মন্ডল, সাং- সেনভাগ; ৭) মোঃ মতিন (২৫), পিতা- মোঃ শাহাদৎ হোসেন, সাং- রামজীবনপুর, সর্ব থানা- পুঠিয়া, ও ৮) মোঃ আঃ রশিদ (৪৮), পিতা- মৃত আঃ গফুর, সাং- ভাংড়া, থানা- বেলপুকুর।
কিন্তু উক্ত এজাহারে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচনে অবৈধ হস্তক্ষেপের বিষয়টি উল্লেখ থাকায় ওসি সাকিল উদ্দীন আহমেদ এজাহারটি রেকর্ডভূক্ত না করে সংবাদদাতা জনাব নিগার সুলতানাকে তা সংশোধনপূর্বক উক্ত বিষয়টি বাদ দিয়ে পুনরায় এজাহার দিতে বলেন। তৎপ্রেক্ষিতে জনাব নিগার সুলতানা উক্ত বিষয়টি বাদ দিয়ে পুনরায় থানায় এজাহার দাখিল করলে ওসি সাকিল উদ্দীন আহমেদ তা গ্রহণ করেন এবং কিছু সাদা কাগজে জনাব নিগার সুলতানার স্বাক্ষর নিয়ে তাকে চলে যেতে বলেন।
পরবর্তীতে সংবাদদাতা জনাব নিগার সুলতানা পুঠিয়া থানা হতে এজাহার ও প্রাথমিক তথ্য বিবরণী এর কপি পুঠিয়া থানার মামলা নং ০৮ তারিখ: ১১/০৬/২০১৯ সংগ্রহ করেন দেখেন যে, প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে আসামীর নাম ও বাসস্থান/ঠিকানা সম্বলিত কলামে কোন আসামীর নাম না লিখে সেখানে ‘অজ্ঞাতনামা’ লিপিবদ্ধ করা হয়েছে এবং এজাহারের বর্ণনা পরিবর্তনের পাশাপাশি আসামীর সংখ্যা ০৮ (আট) জনের পরিবর্তে ৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এরা হলেন, ১। মোঃ আঃ রহমান পটল (৫৫), পিতা- মৃত আশ্রাফ আলী, সাং- ঝলমলিয়া; ২। মোঃ একেএম শাহীন (৫৫), পিতা- মৃত দুলাল, সাং- ঝলমলিয়া; ৩। মোঃ নুরুল আমিন (৫৫), পিতা- মৃত কাচু মন্ডল, সাং- সেনবাগ; ৪। মোঃ মিঠু @ গুন্ডা মিঠু (২৮), পিতা- হাসান, সাং- কানাইপাড়া; ৫। মোঃ আঃ মতিন (২৫), পিতা- মোঃ শাহাদত, সাং- ঝলমলিয়া, সর্ব থানা- পুঠিয়া; ৬। মোঃ রশিদ (৪৮), পিতা- মোঃ আঃ গফুর, সাং- ভাংড়া, থানা- বেলপুকুর।
অর্থাৎ সংবাদদাতা নিগার সুলতানা তার দাখিলকৃত এজাহারে সুনির্দিষ্টভাবে আট জন আসামীর নাম উল্লেখপূর্বক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পুঠিয়া থানা বরাবর এজাহার দাখিল করলেও ওসি সাকিল উদ্দীন আহমেদ কারসাজি মূলকভাবে উক্ত এজাহার পরিবর্তন করে ছয় জনের নাম উল্লেখের পাশাপাশি উক্ত এজাহারে বর্ণনার পরিবর্তন করেন এবং বেআইনীভাবে প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে আসামীর নাম ও বাসস্থান/ঠিকানা সম্বলিত কলামে ‘অজ্ঞাতনামা’ লিখে একটি বিতর্কিত মামলা রুজু করেন।
নিগার সুলতানা উক্ত বিতর্কিত এজাহার এর বিরোধীতা করে প্রতিকারের নির্দেশনা চেয়ে মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগে রীট পিটিশন নং ৯৮৯৫/২০১৯ দায়ের করেন। উক্ত রীট পিটিশনের রুল নিশি ইস্যুর সময় বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, রাজশাহীকে জনাব নিগার সুলতানা কর্তৃক দায়েরকৃত পুঠিয়া থানা মামলা নং ০৮ তারিখ: ১১/০৬/২০১৯ এর এজাহার পরিবর্তন বিষয়ে অনুসন্ধানপূর্বক একটি প্রতিবেদন প্রেরণের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
সে প্রেক্ষিতে মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার, বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, রাজশাহী কর্তৃক বিচার বিভাগীয় অনুসন্ধান শেষে জনাব নিগার সুলতানার দায়েরকৃত এজাহার গ্রহণ না করে কারসাজি মূলকভাবে এজাহার দায়েরের ক্ষেত্রে পুঠিয়া থানার তৎকালীন ওসি সাকিল উদ্দিন আহমেদ এর সন্দেহজনক ভূমিকা রয়েছে মর্মে সুষ্পষ্ট প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। আজকের তানোর

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.