শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৬:২১ pm
ডেস্ক রির্পোট : সাতক্ষীরার তালার ১১টি ও কলারোয়া উপজেলার ১০টিসহ ২১টি ইউপির নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে সোমবার। এ নির্বাচনে তালার খলিশখালি ইউনিয়নে মাত্র ১০০ ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে হারিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
সাতক্ষীরার তালার ও কলারোয়ার ২১টি ইউপির নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের ৯ জন জয় লাভ করেছেন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হিসেবে একজন নারী নেত্রীসহ জয় লাভ করেছেন ৬ জন। অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ীদের মধ্যে রয়েছেন ৫ জন। তাদের মধ্যে বিএনপির ৩ জন, ওয়ার্কার্স পার্টির ১ জন এবং জামায়াতের ১ জন রয়েছেন। এছাড়া একটি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ স্থগিত করায় ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি।
যারা বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন- তালা সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সরদার জাকির হোসেন পেয়েছেন ৭ হাজার ৮৮১ ভোট তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৩৯ ভোট; খলিলনগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রণব ঘোষ বাবলু পেয়েছেন ১০ হাজার ৩১৪ ভোট, তার নিকটতম বিদ্রোহী আওয়ামী লীগের প্রার্থী এসএম আজিজুর রহমান পেয়েছেন ৭ হাজার ৩৬৬ ভোট; তেতুলিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আবুল কালাম পেয়েছেন ১১ হাজার ১৫৬ ভোট, তার নিকটতম প্রার্থী জামায়াতের আফতাবুজ্জামান পেয়েছেন ২ হাজার ৩০৬ ভোট; মাগুরা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের গণেশ চন্দ্র দেবনাথ পেয়েছেন ৪ হাজার ২৯১ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিরন্ময় মণ্ডল পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৪৯ ভোট।
খেশরা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী শেখ কামরুল ইসলাম লাল্টু পেয়েছেন ৯ হাজার ১৬৬ ভোট, তার নিকটতম মো. রাজিব হোসেন পেয়েছেন ৭ হাজার ৪৮৬ ভোট; ইসলামকাটী ইউনিয়নে জামায়াতের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম ফারুক পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৩৯ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের সুভাষ সেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৬৫ ভোট; নগরঘাটা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের কামরুজ্জামান লিপু পেয়েছেন ৭ হাজার ৯০৬ ভোট, নিকটতম জাহাঙ্গীর আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ৩২৭১; ধান্দিয়ার ইউনিয়নে পেয়েছেন বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৫৬ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী দিদারুল পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৭২ ভোট; জালালপুর ইউনিয়নে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মফিদুল হক লিটু পেয়েছেন ৭ হাজার ৪৮৫ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের রবিউল ইসলাম মুক্তি পেয়েছেন ৬ হাজার ২৫৬ ভোট; খলিশখালির ওয়ার্কার্স পার্টির অধ্যাপক সাবির হোসেন পেয়েছেন ৬ হাজার ১৮৫ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মোজাফফর রহমান পেয়েছেন ৬ হাজার ১৭৫ ভোট; সরুলিয়া ইউনিয়নের বিদ্রোহী আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাস্টার আব্দুল হাই পেয়েছেন ৫ হাজা ৬৪৬ ভোট, তার নিকটতম বিদ্রোহী আওয়ামী লীগের আব্দুর রব পেয়েছেন ৫২৯৫ ভোট।
অপরদিকে কলারোয়া উপজেলায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন যুগিখালি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের রবিউল হাসান। তিনি পেয়েছেন ৭ হাজার ৪১৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিদ্রোহী আওয়ামী লীগের ওজিয়ার রহমান পেয়েছেন ৫৬০ ভোট।
সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বেনজির হোসেন ৭ হাজার ৭৫৫ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সমর্থিত স্বতন্ত্র শহিদুল ইসলাম পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৭৯ ভোট। লাঙলঝাড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের অধ্যাপক আবুল কালাম ৪২৮৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মাস্টার নুরুল ইসলাম পেয়েছেন ২ হাজার ৪৫৮ ভোট। দেয়াড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মাহবুবুর রহমান মফে ৩ হাজার ৬৪৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী ইব্রাহিম হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৭১ ভোট।
জয়নগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ২ হাজার ৭০৩ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন বিশাখা সাহা, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিদ্রোহী আওয়ামী লীগের জয়দেব সাহা পেয়েছেন ২ হাজার ২৬৭ ভোট; জালালাবাদ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাহফুজুর রহমান নিশান পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৮৪ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আমজাদ হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৫০৩ ভোট; কয়লা ইউনিয়নে বিদ্রোহী আওয়ামী লীগের শেখ সোহেল রানা পেয়েছেন ২ হাজার ৪৭৮ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আসাদুল ইসলাম পেয়েছেন ২ হাজার ৪৬৭ ভোট।
চন্দনপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ডালিম হোসেন পেয়েছেন ৬ হাজার ৮৫৫ ভোট; তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনিরুল ইসলাম পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৯১ ভোট। এ ছাড়া হেলাতলা ইউনিয়নে বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন ৬ হাজার ৪৮০ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু তালেব পেয়েছেন ৪৯৩৯ ভোট।
কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের কেঁড়াগাছি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত থাকায় পূর্ণাঙ্গ ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি। এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আফজাল হোসেন হাবিল পেয়েছেন ৪৬৯৩ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের ভুট্টোলাল গাইন পেয়েছেন ৩২৮৪ ভোট। জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সূত্র : যুগান্তর