শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৩:৩১ am
নিজস্ব প্রতিবেদক. চারঘাট : টিনশেডের একটি ভাঙা ঘরে চলছে কার্যক্রম। ডাকঘরের বাইরে ‘ডিজিটাল পরানপুর অফিস’ লেখা থাকলেও বাস্তবে ডিজিটালের লেশ মাত্র নেই। রাজশাহীর চারঘাটের পরানপুর হাট শাখার এই ডাকঘরের নিজস্ব কোনো ভবন নেই।
সামান্য বৃষ্টি হলেই টিনের ফুটো দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে পানি। ডাকঘরে কোনো লকার, আসবাবপত্র ও ডিজিটাল স্কেল বা পাল্লা নেই। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই পোস্ট অফিসটি কাজে নয় শুধু নামেই ডিজিটাল।
এলাকাবাসী বলেন, কম্পিউটার, পিন্টারসহ ডিজিটাল সামগ্রী থাকে পোস্ট মাস্টারের বাড়িতে। ডাকঘর কখন খোলা থাকে তা কেউ জানেনা। এ অবস্থায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় সেবা গ্রহীতাদের।
স্থানীয় বাসিন্দা ভায়ালক্ষীপুর বুদিরহাট কলেজের প্রভাষক নূরে আলম বলেন, ‘জন্মের পর থেকেই দেখছি ভাঙা ঘরে ডাকঘর চলছে। সবকিছুর উন্নয়ন হলেও ডাকঘরের উন্নতি হয়নি। অনেকেই সেখানে সেবা নিতে গিয়ে অনীহা প্রকাশ করে। এ ছাড়া ডাকঘরটি ভাঙা হওয়ায় আর্থিক লেনদেন করতে ভয় পান অনেকেই। এতে রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।’
চাকরি প্রত্যাশী স্থানীয় যুবক রায়হানুল হক বলেন, ‘আমি অনলাইনের মাধ্যমে চাকরির আবেদন করি। তাই ডাকঘরে তেমন যেতে হয় না। তবে কিছুদিন আগে একটি কাজে ডাকঘরে গিয়েছিলাম। অফিসের অবস্থা দেখে আমি অবাক হয়েছি। অবহেলিতভাবে চলছে সরকারি অফিসটি।’
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বলেন, ‘বর্তমানে ডাকঘরের সেবার আওতা বেড়েছে। দেশ-বিদেশে চিঠি, পার্সেল পাঠানো ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মানি ট্রান্সফার সেবাও দিচ্ছে। ডাকঘরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ও কম্পিউটারসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি থাকে। ডাকঘরের নিজস্ব ভবন হলে এগুলোর নিরাপত্তাসহ গ্রাহকদের ভোগান্তি কমবে।’
এ বিষয়ে চারঘাট উপজেলা ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার জোসের রহমান বলেন, ‘উপজেলার অধিকাংশ শাখা ডাকঘর সরকারি ভবন পেয়েছে। পরানপুরেও যদি কেউ জমি দান করেন তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।’
এ বিষয়ে পিএমজি উত্তরাঞ্চল রাজশাহীর সহকারী পোস্ট মাস্টার জেনারেল এনামুল হক বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে সব শাখা পোস্ট অফিসই সরকারি দালান ভবন পাচ্ছে। পরানপুরেও যদি কেউ ৫ শতাংশ জমি দান করে তবে সরকারি ভাবে সেখানে ভবন নির্মাণ করে দেওয়া হবে।’আজকের তানোর