রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:৩১ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী নগরীতে এক পরিবারের সদস্যদের হত্যাচেষ্টা ঘটনার চারদিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ। শরীরে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন থাকলেও পুলিশ মেডিকেল রিপোর্ট নিয়ে আসার অজুহাত দেখাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজশাহী প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন ভুক্তভোগী পরিবার মতিহার থানা পুলিশের পুলিশের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হালিমা খাতুন। তিনি নগরীর মির্জাপুর এলাকার আবু হানিফের মেয়ে।
সংবাদ সম্মেলনে হালিমা খাতুন জানান, গত মঙ্গলবার দুপুরে পূর্ব বিরোধের জেরে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মতি, বাবু, জুয়েল, চাঁন, সুরুজ, শিশির ও বুলুসহ কয়েকজন তার পরিবারের সদস্যদেরকে বেধকড় মারধর করেন। ঘটনার সময় তারা মতিহার থানা পুলিশকে ফোন করে সাহায্য পাননি।
আহতরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। বুধবার বাড়ি ফিরে মতিহার থানায় যান এজাহার নিয়ে। পুলিশ এজাহারটি গ্রহণ করলেও শুক্রবার পর্যন্ত সেটা মামলা হিসেবে রেকর্ড করেনি।
হামলার শিকার হালিমা খাতুন বলেন, আমার মাথায় আটটি সেলাই দিতে হয়েছে। প্রত্যেকের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কিন্তু পুলিশ বলছে, মেডিকেল সার্টিফিকেট ছাড়া মামলা রেকর্ড করবে না তারা।
তিনি বলেন, আমরা গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার থানায় গিয়েছি মামলা করতে। কিন্তু পুলিশের একই কথা, ‘আগে মেডিকেল সার্টিফিকেট নিয়ে আসেন’। তিনি প্রশ্ন রাখেন, যেখানে মাথা ফেটেছে, শরীরে আঘাতের গুরুতর জখম আছে, সেখানে মেডিকেল সার্টিফিকেট আগে আনতে হবে কেন?
কলেজছাত্রী হালিমা বলেন, আমরা রামেক মেডিকেল সার্টিফিকেট চেয়েছি। কিন্তু নিয়মানুযায়ী তা পেতে দেরি হবে। পুলিশ মামলার রেফারেন্সে চাইলে কর্তৃপক্ষ তা সরবরাহ করবে। পুলিশ হামলাকারীদের পক্ষ নিয়ে কাজ করছে বলে তারা অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, তারা ফের সন্ত্রাসীদের হামলার ভয়ে বাড়ি ফিরতে পারছেন না। এই বিষয়ে হামলকারীদের বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলেও তারা কথা বলতে রাজি হননি।
প্রকাশ্যে হামলা ও আহত করার পরও মামলা না নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আরএমপির মতিহার থানার ওসি আনোয়ার আলী বলেন, বিষয়টি তার জানা (নলেজে) নেই। তবে খোঁজ নেবেন। আজকের তানোর