নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের দেড় কোটি টাকার একটি কার্ডিয়াক অ্যাম্বুলেন্স টানা দুই বছর গ্যারেজে পড়ে ছিল। অবশেষে বিশেষায়িত এ অ্যাম্বুলেন্সটি চালু করা হয়েছে। শুরু করেছে রোগী বহন। আজ বৃহস্পতিবার এক রোগীকে হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগ থেকে ঢাকায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে গেছে অ্যাম্বুলেন্সটি।

অ্যাম্বুলেন্সটি দীর্ঘ সময় পড়ে থাকার কারণে রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ওপর সেটি অতি দ্রুত চালু করার জন্য চাপ ছিল। অ্যাম্বুলেন্সটি সম্পর্কে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও খোঁজ নেয়। অবশেষে রামেক হাসপাতালকে সম্প্রতি একটি চিঠি দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সটি চালুর বিষয়ে নির্দেশনা দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এরপর বৃহস্পতিবার একজন রোগীকে রাজশাহী থেকে ঢাকায় নেওয়া হলো। ওই রোগীর নাম লুৎফর রহমান। তিনি নওগাঁ জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার একজন উপ-পরিদর্শক (এসআই)।

বিশেষায়িত এ অ্যাম্বুলেন্সটির অভ্যন্তরে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ), লাইফ সাপোর্টসহ ৪০ ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা আছে। ২০১৯ সালে মেসার্স ফেরিটেক প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান ইতালি থেকে পাঁচটি কার্ডিয়াক অ্যাম্বুলেন্স স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে সরবরাহ করে। এর মধ্যে একটি পেয়েছে রামেক হাসপাতাল। কিন্তু ব্যবহারের নীতিমালা না থাকা এবং চিকিৎসক-নার্সের সংকটে অ্যাম্বুলেন্সটি ব্যবহার হচ্ছিল না। হাসপাতালের গ্যারেজেই দুই বছর পড়ে ছিল অ্যাম্বুলেন্সটি।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, অ্যাম্বুলেন্সটিতে রোগী বহন করার সময় একজন চিকিৎসক ও একজন নার্স থাকতে হবে। তাদের একটা সম্মানী দেওয়া দরকার। তাই অ্যাম্বুলেন্সটি রামেক হাসপাতালে আনার পর এই সম্মানী ঠিক করে দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তাছাড়া অ্যাম্বুলেন্সটির ভাড়া নির্ধারণ করার জন্যও অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও এসব কিছুই হয়নি। তাই অ্যাম্বুলেন্সটি ব্যবহার করা যাচ্ছিল না।

তিনি জানান, এখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অ্যাম্বুলেন্সটি ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়ায় রোগী বহন শুরু করা হলো। তবে এখনো এর কোনো নীতিমালা হয়নি। তাই সাধারণ অন্য অ্যাম্বুলেন্সের মতো এর ভাড়া ধরা হচ্ছে প্রতি কিলোমিটারে ১০ টাকা। প্রথম দিন অ্যাম্বুলেন্সে আইসিইউর একজন দক্ষ ব্রাদারকে পাঠানো হয়েছে। রোগীর স্বজনরা তাকে ডিএ হিসেবে ৬০০-৭০০ টাকা দিতে চেয়েছেন। কিন্তু নীতিমালা না থাকায় তিনি কোনো টিএ পাবেন না।

প্রসঙ্গত, অ্যাম্বুলেন্সটির দাম ১ কোটি ৫০ লাখ ৪৪ হাজার ৮৫৫ টাকা। দুই বছর ধরে রামেক হাসপাতালের একজন চালক রোজ সকালে গিয়ে অ্যাম্বুলেন্সের ইঞ্জিন স্টার্ট দিতেন। মেডিকেল সরঞ্জামেও বৈদ্যুতিক সুইচ দিতেন। এভাবে যন্ত্রপাতি ঠিক রাখা হয়েছিল। আজকের তানোর