রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০২:৩১ am
ডেস্ক রির্পোট : নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় সবচেয়ে বিলম্বিত জাতের গৌরমতি আম চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী নামে একজন আম চাষী। তার এই গৌরমতি জাতের আম চাষের সফলতা দেখে এলাকার অনেক চাষী এই আমের বাগান গড়ে তুলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
পত্নীতলা উপজেলার হাড়পুর মৌজায় প্রায় ৬৫ বিঘা জমির উপর গড়ে তুলেছেন একটি মিশ্র ফলের বাগান। মাল্টা, কমলা এবং পেয়ারার পাশাপাশি প্রায় ১৫ বিঘা জমিতে গড়ে তুলেছেন লেট ভ্যারাইটির গৌরমতি জাতের আম বাগান। প্রায় সাড়ে ৬শ গাছের মধ্যে চলতি বছর প্রায় আড়াইশ গাছে আম উৎপাদিত হয়েছে।
জেলায় পর্যায়ক্রমে খিরসাপাত, গোপালভোগ, ল্যাংড়া, নাগফজলি, আম্রপালী, আশ্বিনা ও বারি ফোর জাতের আম শেষ হয়েছে। যখন বাজারে কিংবা বাগানে আর কোনো আম নেই- তখন গৌরমতি জাতের আম বাগানে উত্তোলন শুরু করে। ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ আমের মৌসুম। এ বছর তার বাগানে একশ মণ গৌরমতি জাতের আম উৎপাদিত হয়েছে; যা ইতোমধ্যে বাজারজাত হতে শুরু করেছে।
প্রথম দিকে প্রতি মণ আম ১২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। মাঝখানে ৭-৮ হাজার টাকা মণ এবং সবশেষ বর্তমানে প্রতি মণ আম ১০ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারিভাবে গড়ে প্রতি মণ আম ৯ হাজার টাকা হিসেবে বিক্রিমূল্য। সেই হিসাবে এ বছর কমপক্ষে ৯ লাখ টাকার আম বিক্রি কর করার প্রত্যাশা করছেন তিনি।
এই আম সুস্বাদু, সুমিষ্ট এবং মৌসুমের সর্বশেষ জাতের কারণে লাভজনক হওয়ায় এলাকার দেলোয়ার হোসেন চৌধুরীর পাশাপাশি অনেক আম চাষী এ আম বাগান গড়ে তুলতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। ইতোমধ্যে কেউ কেউ এই জাতের আমবাগান গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন।
পত্নীতলা উপজেলা কৃষি অফিসার প্রকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, কৃষি বিভাগ থেকে ওই কৃষককে গৌরমতি জাতের আম চাষে উৎসাহিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে আম উৎপাদনের ক্ষেত্রে সব রকমের পরামর্শ এবং টেকনিক্যাল সাপোর্ট প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া যে কেউ গৌরমতি আমের বাগান গড়ে তুললে সব রকমের সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন তিনি। সূত্র : যুগান্তর