রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৩:৩৯ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর :
আকাশে মেঘ দেখার অজুহাতে বন্ধ করে দেওয়া হয় রাজশাহীর তানোরে নেসকো ও পল্লীবিদ্যুতের লাইন। এছাড়া ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। অপরদিকে, মিটার রিডিং না দেখে কাল্পনিক বিল করা, মিটার সরানো, ট্রান্সমিটার জ্বলে যাওয়া, ফেইস পড়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন কাজে রীতিমতো চলছে ব্যাপক গ্রাহক হয়রানি।
তবে, বিদ্যুতের এই দুই কেম্পানীর কন্ট্রোলরুম থেকে বলছেন, প্রয়োজনের তুলনায় জাতীয় গ্রেড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ কম পাবার কারণে লোডশেডিং হচ্ছে। তাছাড়া সব কিছু নিয়ম মেনেই চলছে।
বিভিন্ন এলাকার গ্রাহকরা বলছেন, সম্প্রতি নেসকো লিমিটেড কোম্পানীর তানোর সাব-স্টেশন থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ১০-১২ ঘণ্টা লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। গেল বৃহস্পতিবার সারাদিন ২৪ ঘন্টার বিদ্যুৎ প্রতি ঘন্টায় ঘন্টায় সিমাহীন আসা-যাওয়া করেছে। আর পল্লীবিদ্যুতের ক্ষেত্রে বলাই বাহুলো। কারণ এ অঞ্চলে পল্লীবিদ্যুৎ যায় না মাঝে মাঝে আসে এমনতি বলছিলেন মুন্ডুমালা পৌর এলাকার বাসিন্দা সামশুল আলম। ফলে বিদ্যুতের এমন লাজুক পরিস্থিতিতে আসা-যাওয়া খেলায় ভ্যাপসা গরমে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন গ্রাহক জানান, আকাশে মেঘ দেখেই বন্ধ করে দেওয়া হয় বিদ্যুতের লাইন। আর মাঝে মধ্যে মেরামতের নাম করে বিদ্যুৎ থাকে না পুরোদিন। এরজন্য করা হয় না কোনো রকম প্রচার প্রচারণা। অভিযোগ কেন্দ্রের মোবাইল নাম্বার বিভিন্ন সময় গ্রাহকদের জানানো হলেও ওইসব মোবাইল নাম্বার প্রায় বন্ধ থাকে। অধিকাংশ সময় বিদ্যুতের লোকজন মিটারের কাছে না গিয়ে এবং মিটার রিডিং না দেখে কাল্পনিক বিল করে থাকে, অফিসে অভিযোগ করে ও গ্রাহকরা এর কোনো সুরাহা পায় না। লাইন কেটে দেওয়ার ভয়ে গ্রাহকরা ওইসব ভূতুড়ে বিলই পরিশোধ করে থাকেন। মিটার সরানো, ট্রান্সমিটার জ্বলে যাওয়া, ফেইস পড়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন কাজে রীতিমতো চলছে গ্রাহক হয়রানি।
গ্রাহক অভিযোগে আরও জানানো হয়, নানা সমস্যার কারণে বিদ্যুতের অভিযোগ কেন্দ্রে ফোন দিয়ে পাওয়া যায় না। পেলেও তারা গ্রাহকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। আর প্রায় অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। গেলো বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই কোনো ঝড় বৃষ্টি ছিল না। অথচ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করছে। এরপর রাতে অন্তত ৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ ছিল না।
এবিষয়ে তানোর নেসকো লিঃ (পিডিবি) আবাসিক প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, প্রয়োজনের তুলনায় জাতীয় গ্রেড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ কম পাবার কারণে লোডশেডিং হচ্ছে। তাছাড়া সব কিছু নিয়ম মেনেই চলছে। এটা কখন ঠিক হবে তা বলা সম্ভব নয়।
এনিয়ে তানোর পল্লীবিদ্যুৎ এরিয়া অফিসের এজিএম রেজাউল হক মন্ডল বলেছেন, চাহিদার তুলনায় ২৪ ঘন্টায় বিদ্যুৎ সরবরাহ মাত্র দুই থেকে তিন ঘন্টা লোডশেডিং থাকে। তবে, প্রাকৃতিক সমস্যার সৃষ্টি হলে বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করে। সাময়িক এই অসুবিধার জন্য গ্রাহকদের মেনে নেয়া উচিত বলে জানান তিনি। আজকের তানোর