শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৫:১৪ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগমারা : রাজশাহীর বাগমারা থেকে গ্রাহকদের অর্ধকোটি টাকা নিয়ে একটি বে-সরকারি সংস্থা লাপাত্তা হয়েছে। ভূয়া প্রতিষ্ঠানের খপ্পড়ে পড়ে পাঁচ শতাধিক গ্রাহক প্রতারিত হয়েছেন। তাঁরা এর প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।
প্রতারিত গ্রাহকদের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এক মাস আগে উপজেলায় ‘মৈত্রী সংস্থা’ নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম শুরু করে। উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জের চানপাড়ায় দপ্তর খোলে গোটা উপজেলায় কার্যক্রম পরিচালনা করেন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা। ভবনের সামনে একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে কার্যক্রম শুরু করা হয়।
সংস্থার কর্মকর্তারা গ্রামে গ্রামে ঘুরে নিজেদের নিবন্ধিত সংগঠনের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে সদস্য সংগ্রহ করেন। ভালো বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে স্থানীয় কিছু নারী কর্মীও নিয়োগ দেন ভূয়া সংস্থার কর্মকর্তারা। তাঁরা সদস্যদের এলাকার উন্নয়ন মূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা ছাড়াও তাঁদের নামমাত্র সুদে মোটা অংকের ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়। এজন্য প্রতিটি গ্রাহকের কাছ থেকে জামানত হিসাবে ১৫-২০ হাজার টাকা নেওয়া হয়। এক মাস পরেই গ্রাহকদের ঋণ দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয় সংস্থার পক্ষে।
এদিকে মঙ্গলবার গ্রাহকদের ঋণ দেওয়ার জন্য বাগমারার অফিসে ডাকা হয়। সকালে গ্রাহকরা সংস্থার চানপাড়ার কার্যালয়ে এসে তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। এরপর প্রতারিত গ্রাহকদের একটি অংশ স্থানীয় ভবানীগঞ্জ পৌরসভার মেয়রের কাছে গিয়ে নিজেদের প্রতারিত হওয়ার কথা জানান এবং জামানতের টাকা ফেরতের ব্যবস্থার দাবি জানান। তিনি প্রতারিতদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
পরে প্রতারিত গ্রাহকেরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। প্রতারিত হওয়ার বর্ণনা দিতে গিয়ে গ্রাহক ময়না খাতুন বলেন, অনেক কষ্ট করে জমানো টাকা মৈত্রীর কর্মকর্তাকে দিয়েছিলেন। মোটা অংকের ঋণ পাবেন এমন আশায় তিনি টাকা দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন।
মৌসুমী খাতুনও নামের আরেক প্রতারিত গ্রাহক বলেন, এভাবে প্রতারিত হবেন তা ভাবতে পারেননি। ফারাতুল্যা নামের এক গ্রাহক বলেন, তিনিও তাঁর স্ত্রীর মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। সংস্থাটির যাবতীয় কাগজপত্র আছে এবং বৈধ বলে তাঁদের জানানো হয়েছিল। এই বিষয়ে সংস্থার কর্মকর্তা পরিচয় দেওয়া হাসান আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদা খানম অভিযোগ পাওয়া ও বিষয়টি সর্ম্পকে অবহিত থাকার কথা স্বীকার করে মুঠোফোনে জানান, খোঁজ নিয়ে জেনেছেন সংস্থার কোনো নিবন্ধন নেই। প্রতারকদের খোঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। আজকের তানোর