মো. মমিনুল ইসলাম মুন, বিশেষ প্রতিবেদক :
রাজশাহীর তানোরে মৎস্যচাষের মটর থেকে অবৈধ সেচ বাণিজ্যে কৃষকদের মাঝে চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। এসব অবৈধ সেচ বাণিজ্যে বন্ধে এ মটরের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ উঠেছে। অন্যথায় যে কোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে।

ফলে গ্রামবাসি আতংকিত হয়ে পড়েছে। তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের কুন্দাইন গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা ইউসুফ আলী সৈনিক লীগ নেতা সাদেকুল ইসলামের ভাই। তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে শিবপুর মৌজায় পুকুর পাড়ে মৎস্য চাষের নামে মিনি ডিপ স্থাপন করেছেন। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে পুকুরে পানি না দিয়ে সেচ নীতিমালা লঙ্ঘন ও জোরপুর্বক বিএমডিএর গভীর নলকুপের কমান্ড এরিয়ায় আন্ডারগ্রাউন্ড ড্রেন নির্মাণ করে তিনি উচ্চমুল্য সেচ বাণিজ্যে করছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কৃষক জানান, ড্রেন মেরামত, ভোল্টেজ বাড়ানো নানা অজুহাতে কৃষকদের জিম্মি করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে। এছাড়াও কৃষকের জমি তিনি ফড়িয়া আলু চাষিদের কাছে ইজারা দিয়েও টাকা নয়ছয় করছেন। তার এসব অবৈধ কাজে মদদ দিচ্ছে পল্লীবিদ্যুতের এজিএম কামাল হোসেন। এতে কৃষকদের মাঝে চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। তবে কেউ কোনো প্রতিবাদ করতে পারছেন না। কৃষকেরা জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি সরাসরি নৌকার পক্ষে ভোট দিতে কৃষকদের বাধ্য করেছে। যারা নৌকায় ভোট দিবেন না তাদের জমিতে সেচ দেয়া হবে না বলে হুমকি দেয়া হয়। ফলে কৃষকেরা বাধ্য হয়ে নৌকার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। তানোর পল্লীবিদ্যুৎ যথারীতি এই অবৈধ মটরের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করে মদদ দিচ্ছে।

অথচ সেচ নীতিমলা অনুয়ায়ী সেচ কমিটির অনুমোদন ব্যতিত যেকোনো মটর থেকে কৃষি জমিতে সেচ দেয়া হলে সেই মটরের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কথা। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি নীরব রয়েছে। কিন্তু মোহাম্মদপুর মৌজায় পুকুর থেকে স্যালোমেশিন দ্বারা আলুখেতে সেচ দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে পল্লীবিদ্যুৎ, এমনকি বাণিজ্যিক মটরের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেয়া হয়েছে বলে জানান কৃষক নমির উদ্দিন। এসব অবৈধ মটরের কারণে বিএমডিএ’র অধিকাংশ গভীর নলকুপ লেয়ার ফেল করে অকেজো হয়ে পড়েছে।

এব্যাপারে বিএমডিএর তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলী জামিনুর রহমান বলেন, গভীর নলকুপের কমান্ড এরিয়ায় সেচ মটর স্থাপনের কোনো সুযোগ নাই আর বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার তো প্রশ্নই আসে না।

রাজশাহী পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি তানোর এরিয়া ম্যানেজার (ডিজিএম) জহুরুল ইসলাম বলেন, মৎস্য চাষের মটর থেকে কৃষি জমিতে সেচ দেয়া যাবে না। তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হবে। রা/অ