শনিবর, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:৩০ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর :
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে রিশিকুল ইউনিয়নের কুন্দলিয়া গ্রামে আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করে জোরপুর্বক আম বাগানের শতাধিক গাছ নিধন ও কালাইখেত গুড়িয়ে দেবার অভিযোগ উঠেছে। গত ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটেছে।
এদিন রাতে সাদিকুল ইসলাম বাদি হয়ে সেরাজুল ইসলামসহ ৫ জনকে বিবাদী করে গোদাগাড়ী মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিবাদমান এ ঘটনাটি নিয়ে দুপক্ষের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, গোদাগাড়ী উপজেলার রিশিকুল ইউপির জেএল নম্বর ৩৩৭, মৌজা তালাই, খতিয়ান নম্বর ৭১ ও ১৪১ এর প্রস্তাবিত খতিয়ান নম্বর ১১৫০। উক্ত জমির হোল্ডিং নম্বর ১৪২০, আরএস দাগ নম্বর ১৮৮২, ১৮৮৩, ১৮৭৯, ১৮১২ ও ২০০৫ পাঁচ দাগে মোট জমির পরিমান ৯৫ শতক। এর শ্রেণি কৃষি।
উক্ত সম্পত্তির মালিক কুন্দলিয়া গ্রামের মৃত দোস মোহাম্মদের পুত্র সইমুদ্দিন। এদিকে ২০২৪ সালে তার কাছে থেকে এসব সম্পত্তি রেজিস্ট্রি বায়নামা করে ভোগদখল করছেন কুন্দলিয়া রামনগর গ্রামের কাফলুর রহমানের পুত্র সাদিকুল ইসলাম। তিনি সেখানে শতাধিক গাছ রোপণ ও মাশ কালাই বপন করেছেন।
সাদিকুল ইসলাম জানান, সম্পত্তির বিরোধ নিয়ে রাজশাহী গোদাগাড়ী থানার আমলী আদালতে মামলা হয়েছে। যার নম্বর ৫৪৬/২০২৪। তারিখ ২৭ নভেম্বর। ইহার মোকদ্দমা নম্বর ১৯৭/২০২৪। তারিখ ২১ আগস্ট/২০২৪। ও মোকাদ্দমা নং-৬৯৮পি/২০২৪। তারিখ- ১০ সেপ্টেম্বর/০২৪। ফৌজাদারী কার্যবিধি আইন ১৪৪ ধারা মামলা চলচান আছে। এমনকি গত ২৭ নভেম্বর বুধবার কাঁকনহাট পুলিশ তদন্তকেন্দ্র থেকে উভয় পক্ষকে নোটিশ দেয়া হয়েছে। যাতে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত জমিতে কেউ না যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী নগরীর সিরোইল মহল্লার সেরাজুল ইসলামের পুত্র নুরুজ্জামান দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে ভাড়াটিয়া বাহিনী নিয়ে জোরপুর্বক বাগানের প্রায় শতাধিক আম গাছ নিধন ও কালাইখেত গুড়িয়ে দিয়েছেন। এতে সাদিকুল ইসলামের প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। এদিকে জমির দখল পেতে অসহায় কৃষক পরিবার আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে সেরাজুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি অসুস্থ জমি দখলের বিষয়ে কিছুই বলতে পারবেন না।
এব্যাপারে কাঁকনহাট তদন্ত কেন্দ্রের এসআই (দারোগা) মুনছুর আলম বলেন, ১৪৪ ধারার নোটিশ উভয়পক্ষকে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করে কেউ যদি জমিতে যায়, তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। রা/অ