বৃহস্পতিবর, ১২ িসেম্র ২০২৪, সময় : ০১:১৫ am

সংবাদ শিরোনাম ::
দুর্গাপুরে সাংবাদিকের ওপর চিকিৎসকের হামলা বাগমারায় তারেক জিয়ার প্রজন্মদলের ঝিকরা ইউনিয়ন কমিটির অনুমোদন বিজয়নগরে ত্রিমুখী সং’ঘর্ষে নারী-শিশুসহ ৩ জন নিহত তানোরে ডিবি পুলিশের অভিযানে আ.লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মী আটক চারঘাটে ৬২ কেজি গাঁজাসহ একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ আরএমপি পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে ১৭ জন গ্রেপ্তার তানোরে ওয়ারিশন সনদ ও ট্র্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তিসহ জরুরি কাজে ভোগান্তি তানোরে মৎস্য চাষের মটর থেকে অবৈধ সেচ বাণিজ্য ভারতে আটক বাংলাদেশিদের ছবি প্রকাশ করল ভারতীয় কোস্ট গার্ড হাসিনার তৈরী আইন দিয়েই তার বিচার হবে : নগর জামায়াত সেক্রেটারি ইমাজ নগরীতে ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী সেই ‘ডন’ গ্রেপ্তার আড়ালে পাচার, নারী নিরাপত্তায় মনোযোগ দরকার : উদিসা ইসলাম সীমান্ত-সংলগ্ন মিয়ানমারের ২৭০ কিমি এলাকা দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি সিরিজের দ্বিতীয়টিতে টস হেরেছে বাংলাদেশ, একাদশে এক পরিবর্তন রাজশাহীতে সন্ত্রাসি কর্মকাণ্ড ও বিভিন্ন অপরাধে গ্রেপ্তার ১৩ এবারের বিজয় দিবসের কনসার্টে মূল চমক বেবী নাজনীন মোহনপুরে ভুল সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদে প্যানেল চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন ভারতীয় বেডশিট ছুড়ে ফেললেন রিজভী, আগুন দিলেন নেতাকর্মীরা মোহনপুরে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে লীজকৃত পুকুরে মাছ ধরার অভিযোগ নগরীতে ছাত্রলীগের নেতাকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে দিল ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা
সাত মণ ধানে এক বস্তা ব্র্যাকের আলুবীজ, তাও অপেক্ষায় জুটছে কপালে

সাত মণ ধানে এক বস্তা ব্র্যাকের আলুবীজ, তাও অপেক্ষায় জুটছে কপালে

Oplus_131072

ভ্রাম্যমান প্রতিবেদক :
সাত মন ধান বিক্রি করে ব্র্যাকের ৪০ কেজির এক বস্তা আলু বীজ মিলছে। তাও কয়েকদিন উপেক্ষার পর জুটছে। অথচ দিনের দিন ধানের দাম কমতেই আছে। তারপরও বীজ মিলছে না কৃষকের ভাগ্যে। নির্ধারির মূল্যের চেয়ে দ্বিগুণ বেশি দাম নিলেও কর্তৃপক্ষ একেবারেই নীরব অবস্থায়। অথচ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে মৌখিক হুশিয়ারি দিলেও বাস্তবে কোন প্রতিকার নেই। যার কারনে অপেন সিন্ডিকেটে নেমেছেন ব্র্যাকের আলু বীজ ডিলার শাহিন মাস্টারসহ বীজ ব্যবসায়ী ও বীজ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ফলে ডিলার শাহিন মাস্টারসহ কালোবাজারি ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা।

কৃষকরা জানান, ব্র্যাক আলুর বীজ ডিলার শাহিন মাস্টার। তার ডিলার পয়েন্ট তালন্দ বাজারে। কিন্তু প্রায় ১২/১৪ দিন ধরে শাহিন মাস্টার আত্মগোপনে আছে। প্রতিদিন বীজ নিতে কৃষকরা দোকানে ভীড় করছেন। কিন্তু ডিলারকে না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। উপজেলায় রোপা আমন ধান কাটা শেষ হয়েছে। চলছে আলু রোপনের জন্য জমি চাষ। প্রথম দিকে ধানের বাজার ১ হাজার ৩০০ টাকা মন ছিল। হঠাৎ ধানের বাজার কমে ১ হাজার ২৫০ থেকে ১ হাজার ২৭০ টাকা মনে বিক্রি করতে হচ্ছে। সিন্ডিকেটের কারনে দিনের দিন ধানের দাম কমতেই আছে। একমণ ধান ১ হাজার ২৫০ টাকায় বিক্রি হলে সাত মন ধানের দাম লাগে ৮ হাজার ৭৫০ টাকা। ছয় মণ ধানের দাম লাগে ৭ হাজার ৫০০ টাকা। ৪০ কেজির এক বস্তা ব্র্যাকের আলুর বীজ নিতে গুনতে হচ্ছে ৮ হাজার থেকে ৮ হাজার ৫০০ টাকা।

Oplus_131072

সুত্র জানায়, উপজেলায় একমাত্র ব্র্যাক বীজ ডিলার শাহিন মাস্টার। তিনি আত্মগোপনে থাকলেও তার ভায়ের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় বীজ মজুদ করে রেখেছেন। তার ভায়ের কর্মচারীসহ নিকট আত্মীয়দের বাড়িতে মজুদ করা হয়েছে বলে অহরহ অভিযোগ। সম্প্রতি তার দোকানে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর পাহারায় ন্যায্য মূল্য সামান্য পরিমান বীজ বিক্রি করেছেন। এটাকে এক প্রকার আইওয়াশ করা হয়েছে বলেও মনে করছেন কৃষকরা। তারপর থেকে ডিলারের কোন খোঁজ নেই।

প্রান্তিক আলু চাষী সোহেল, আশরাফুল ও আব্দুল্লাহসহ অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রকাশ্যে দিবালোকে শাহিন মাস্টারসহ ব্যবসায়ীরা বীজ নিয়ে কারসাজি করছেন। আশপাশের বিভিন্ন খুচরা দোকানে বাড়তি দামে বিক্রি করেছেন। এছাড়াও তার ভায়ের মাধ্যমেও বিভিন্ন গ্রামে বীজ রেখে দ্বিগুণের বেশি টাকায় বিক্রি করছেন। আমরা ক্ষুদ্র প্রান্তিক চাষী। রোপা আমন ধান বিক্রি করে বীজ সার কিনতে হবে। বর্তমানে একমণ ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২৫০ থেকে ১ হাজার ২৭০ টাকায়। সে হিসেবে সাত মণ ধান বিক্রি করলে ৪০ কেজির এক বস্তা বীজ কিনা যাবে। বিশেষ করে বিগত বছরের তুলনায় এবারে বেপরোয়া কারসাজি চলছে। কিন্তু উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি দপ্তর একেবারেই নীরব ভূমিকা পালন করছেন। এক বিঘা জমিতে ঊর্ধ্বে ২০ মণ ধান হচ্ছে। সবকিছু বাদ দিয়ে ১৫/১৬ ধান ঘরে তুলতে পারছেন কৃষকরা। একবস্তা আলু বীজ কিনতে যদি সাত মণ ধান বিক্রি করতে হয় তাহলে এক বিঘা জমির ধান বিক্রি করে তিন বস্তা বীজ আলু কিনাই অসম্ভব। যারা প্রজেক্ট করে তাদের কোন কিছুর সমস্যা নেই। আমাদের মত প্রান্তিক কৃষকদের হয়রানির শেষ নেই।

তারা আরো জানান, বীজ ডিলার শাহিন মাস্টার প্রায় ৩৫০ মেট্রিকটন বীজ বরাদ্দ পেয়েছেন। তার রেজিস্ট্রার খাতা যাচাই-বাছাই করলেও থলের বিড়াল বেরিয়ে পড়বে। কিন্তু সেটা কেউ করছেন না। বিগত সময়ে সিন্ডিকেট হয়েছে, কিন্তু এত পরিমাণে হয়নি। অবস্থাটা দেখে মনে হচ্ছে প্রশাসন বলে কেউ নেই।

Oplus_131072

উপজেলার চাঁন্দুড়িয়া ইউপির ক্ষুদ্র মাঝারি আলু চাষী সোহেল ও রহিদুল জানান, কালিগঞ্জ হাটে সার ব্যবসায়ী লালু প্রকাশ্যে দ্বিগুণ দামে ব্র্যাক আলুর বীজ বিক্রি করছেন। লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার হয়নি। ব্র্যাকের বীজ ডিলার শাহিন মাস্টারের মোবাইলে ফোন দেয়া হলেও রিসিভ করেননি। তার খোঁজে ডিলার পয়েন্টে ও প্রতিষ্ঠান এবং বাড়িতে খোঁজ করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।

এব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদকে বাড়তি দামে বীজ বিক্রির বিষয়ে অবহিত করা হলে তিনি জানান, কোন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল ইসলামকে অবহিত করা হলে তিনিও একই ধরনের কথা বলেন। রা/অ

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.