শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৩:৫৬ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকা মহানগর এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। অটোরিকশার দৌরাত্ব বৃদ্ধি পাওয়ায় এ নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত। একই অবস্থা এখন গ্রিণ সিটি ক্লিন সিটি রাজশাহী শহরেরও। অটোরিকশার এতোটা দৌরাত্ব যে ধাপ ফেলানো যা না।
রাজশাহীতেও সাম্প্রতিক সময়ে অটোরিকশার যে দৌরত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে-তাতে সাধারণ মানুষ মনে করছেন দ্রুত অটোরিকশা নিষিদ্ধ করা হোক। অন্তত মূলশহরে অটোরিকশা দ্রুত বন্ধ করা হোক। অটোরিকশার কারণে শহরে এখন ধাপ ফেলানো যায় না। হাজার হাজার অটোরিকশা রাজশাহী শহর জুড়ে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে। সিটি করপোরেশনের ১৪ হাজার নিবন্ধন নিয়ে এ শহরে এখন অন্তত চলছে ৭০ হাজার অটোরিকশা।
প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এসব অটোরিকশা শহরে বেপরোয়া চলাচল করছে। বাড়ছে দুর্ঘটনার হারও। প্রতিদিনই অটোরিকশার কারণে শহরে কমপক্ষে ২০-২৫টি দুর্ঘটনা ঘটছে।
এমন অবস্থায় অটোরিকশা দ্রুত বন্ধের দাবি জানিয়েছেন সচেতন নগরবাসি। নগরীর উপশহর এলাকার বাসিন্দা আকবর হোসেন বলেন, কোথাও তো আর ধাপ দেওয়া যায় না অটোরিকশার কারণে। এখন দ্রুত বন্ধ করা হোক এগুলো। অন্তত মূলশহরে চলাচল বন্ধ করা হোক।’
রাজশাহীর কাদিরগঞ্জ এলাকার জিন্নাতুন নাইমা বলেন, এভাবে কোনো সভ্য শহর গড়ে উঠতে পারে না। হাজার হাজার অবৈধ যানবাহন যেখানে চলাচল করে সাধারণ মানুষের স্বাভাাবিক ড়তিপথ থামিয়ে দেয়, সেটি কখনোই ভালো শহর হতে পারে না। এতোসব অটোরিকশা এই শহরে চলাচলের কোনো অধিকার রাখে না। দ্রুত অন্তত মূল শহরে অটোারিকশা বন্ধ হোক।
সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি আহমেদ শফিউদ্দিন বলেন, এতো অটোরিকশার দরকার নাই। সীমিত করা হোক। ভাড়া বাড়িয়ে দেয়া হোক প্রয়োজনে। কিন্তু এতো অটোরিকশার কারণে সাধারণ মানুষের জীবন-যাত্রার ওপর বড় প্রভাব পড়ছে। শহরে যানজট বাড়ছে। রা/অ