শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০২:১৪ pm
এম এম মামুন :
নিজের জায়গার সাথে অন্যের জায়গাসহ বিল্ডিং তৈরী করেছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। মানেননি ইমারত বিধিমালা। ভুক্তভোগী জায়গার মালিক মৌখিকভাবে বলে কাজ না হওয়ায় লিখিত অভিযোগ দেন রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (আরডিএ)। আরডিএ উভয় পক্ষের জায়গার কাগজপত্র যাচাই করে পুলিশ কর্মকর্তাকে ভুক্তভোগীর জায়গা ছেড়ে দিতে নির্দেশ দেয়। ভুক্তভোগীর জায়গা না ছেড়ে উল্টো আরডিএ’র বিরুদ্ধেই মামলা ঠুকে দিলেন ঐ পুলিশ কর্মকর্তা। এমনই অভিযোগ উঠেছে রাজশাহীতে।
ভুক্তভোগী লিয়াকত হোসেন পেশায় সাংবাদিক। তিনি বলেন, ওয়ারিশ সুত্রে প্রাপ্ত নতুন বিলসিমলা এলাকার বহরমপুর মৌজায় ৩৩৭ দাগে পৌনে এক কাঠা জমি দখল না দিয়ে দীর্ঘদিন দখলে রেখে কোন প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে ৪ তলা ভবন নির্মাণ করে রেখেছেন নগরীর রাজপাড়া থানার নতুন বিলসিমলা এলাকার মৃত শহিদুর রহমানের ছেলে পুলিশ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম। অন্যের জায়গায় ইমারত বিধিমালা উপেক্ষা করে সড়ক ঘেষে কোন প্রকার জমি না ছেড়ে এই ভবন নির্মাণ করা হয়েছে যা আইন বহির্ভূত। নতুন বিলসিমলা এলাকার বহরমপুর মৌজায় ৪৪০৮ খতিয়ানের ৩৩৭ দাগে ৪২৮৬ হোল্ডিং ভুক্ত পৌনে এক কাঠা জমির প্রকৃত মালিক মৃত লাইলি বেওয়ার ওয়ারিশ সাংবাদিক লিয়াকত হোসেন ও তার ভাইবোন, এরই প্রেক্ষিতে নিজ জমিতে নির্মানকৃত বিল্ডিং এর অংশ বিশেষ অপসারণের জন্য গত ২৪ জানুয়ারী লিয়াকত রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত আবেদন করেন।
আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১৩ ফেব্রুয়ারী/২৪ দুই পক্ষের শুনানি শেষে কর্তৃপক্ষ উভয় পক্ষের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে ১৫ সেপ্টেম্বর ২ মাসের মধ্যে বিল্ডিং এর অংশ বিশেষ সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ প্রদান করে। কিন্তু তিনি অন্যের জমির অংশ ছাড়ছেন না। তিনি বলেন, আমি পুলিশ কর্মকর্তা রবিউল ইসলামকে একাধিকবার আমাদের অংশ রেখে বাড়ি নির্মাণের জন্য অনুরোধ করি, তাতে কোন লাভ হয়নি। তার দাম্ভিকতা হলো তিনি একজন পুলিশ অফিসার এবং আপন ভাই রবিন আওয়ামী লীগ কর্মী। নিজে পুলিশ ও ভাই আওয়ামী লীগের কর্মী হওয়ায় ক্ষমতার দাপটে আরডিএ’কে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে উল্টো আরডিএ’র নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধেই আদালতে মামলা দায়ের করেছেন বলে জানতে পারি।
অভিযোগের বিষয়ে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে রবিউল ইসলাম বলেন, আমি ব্যস্ত আছি, আমার ভাই রবিন-মমিনদের সাথে কথা বলেন। ছোট ভাই মমিন উদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমাদের ৩৩৭ দাগে অধিগ্রহণের পরে ৪ ছটাক জমি ছিলো, পরে বাকী ১১ ছটাক পাশের ৩৩৮ দাগের মালিক মৃত আরকাতুন বেওয়ার ওয়ারিশ বাবলুদের কাছে থেকে ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে কিনে স্থাপনা নির্মাণ করেছি। তবে ক্রয়ের বিষয়ে পূর্নাঙ্গ কোন তথ্য দিতে না পারলেও আরডিএ’র বিষয়ে দাম্ভিকতার সাথে বলতে থাকেন, আদালতে মামলা করেছি, মামলা দীর্ঘদিন চলবে, আমাদের কোন সমস্যা নাই।
এবিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, নোটিশ পেয়েছি আদালতে মামলা চলমান আছে, আমাদের উকিলের মাধ্যমে আমরা মামলা পরিচলনা করবো, মামলার রায় পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। আশা করি আমরা ন্যায় বিচার পাবো। অভিযোগকারীকে বিবাদি না করে শুধু আমাদের কেন বিবাদী করলো তা আমার বোধগম্য নয়। রা/অ