রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১২:৪২ am
এম এম মামুন, নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় আয়েশা বেগম নামের দুই সন্তানের জননী মাদ্রাসা পড়ুয়া নবম শ্রেণির এক ছাত্রকে বিয়ে রীতিমত হইচই ফেলে দিয়েছেন। বুধবার (১৪ জুন) রাতে মোহনপুর উপজেলার মৌগাছি ইউনিয়নের বেড়াবাড়ি বামনদীঘি গ্রামে বিয়ের পর থেকে ওই দম্পতিকে দেখার জন্য উৎসুক লোকজন বাড়িতে ভিড় করছেন।
স্থানীয়রা জানায়, পাবনা জেলার আমিনপুর উপজেলার হরিদেবপুর গ্রামের জনৈক ব্যক্তির স্ত্রী দুই সন্তানের জননী আয়েশা বেগম (৩৬) রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার বেড়াবাড়ি বামনদীঘি গ্রামের ওহাব আলীর ছেলে মাদ্রাসায় নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিমুল হোসেন (১৫) এর সাথে মাস ৭ আগে ফেসবুকে পরিচয় হয়। নিজেকে অবিবাহিত দাবি করে ওই কিশোরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন আয়েশা বেগম। তবে ওই নারী ১৬ বছরের একটি ছেলে ও ৮ বছরের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
এক পর্যায়ে মঙ্গলবার (১৩ জুন) বিকেলে দুই সন্তানের জননী আয়েশা বেগম বিয়ের দাবিতে কিশোর শিমুল হোসেনের বাড়ির দরজায় অনশন শুরু করে। এরপর কিশোর বাড়ি থেকে আত্মগোপনে চলে যায়। শুরু হয় স্থানীয়দের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে মিমাংসার চেষ্টা। কিন্তু প্রেমিকা আয়েশা বেগম দাবি করে বসে বিয়ের। এক টানা দুইদিন অনশনের পর অবশেষে মৌগাছি ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বুধবার ৪০ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য্য করে বিয়ে দেন। খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ওই দম্পতিকে দেখার জন্য উৎসুক লোকজন বাড়িতে ভিড় করে।
এ বিষয়ে মৌগাছি ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মো. সাইদুর রহমান বলেন, বিয়ের দাবিতে দুইদিন ধরে আয়েশা বেগম নামের এক গৃহবধূ কিশোর শিমুল হোসেন বাড়িতে অনশন করছিল। বিষয়টি মোহনপুর থানা পুলিশ ও মৌগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের পরামর্শে বুধবার রাতে বিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহা.সেলিম বাদশাহ বলেন, অনশনের বিষয়টি শুনেছি। তবে বিয়ের বিষয়টি জানিনা। থানায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। রা/অ