শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:০১ pm
ডেস্ক রির্পোট :
ক’দিন পরই রাজধানী ঢাকার রাস্তায় দেখা যাবে সামরিক যানের মতো যানবাহন। পুলিশের জন্য আনা কিছু ভারী যান ও সরঞ্জাম রাস্তায় নামানো হবে। এগুলো ব্যবহার করা হবে সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদসহ উদ্ভূত যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায়। বিশেষ করে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সব ধরনের সহিংসতা ঠেকাতে এগুলো প্রস্তুত থাকবে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে। এগুলো এখন চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছাড়ের অপেক্ষায় রয়েছে। এজন্য সরকারের ব্যয় হচ্ছে অন্তত ৩০০ কোটি টাকা।
পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা যায়, দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা নষ্ট করতে কিছু অপশক্তি কাজ করে যাচ্ছে। যেকোনও ইস্যু সৃষ্টি করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে দুর্বৃত্তরা। মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীরা। যে কারণে পুলিশের সক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রথমেই ডিএমপিকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বড় ধরনের নাশকতা ও সহিংসতা ঠেকাতে ডিএমপির জন্য কিছু ভারী যানবাহন কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয় ২০১৯ সালে। এজন্য প্রথমে ৭৯ কোটি টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়। পরবর্তীতে সেটা সংশোধন করে ৩০৯ কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদন দেয় সরকার। এরমধ্যে ২৬৯ কোটি টাকা ব্যয় বহন করবে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে। বাকি ৩৯ কোটি টাকা উন্নয়ন সহযোগীদের অনুদান থেকে ব্যয় করার সিদ্ধান্ত রয়েছে। যা আগামী তিন মাসের মধ্যে অর্থাৎ চলতি অর্থবছরে এসব কেনাকাটা শেষ করার কথা।
ডিএমপির সক্ষমতা বাড়ানোর বড় অংশ ব্যয় হবে দাঙ্গা ও সহিংসতা ঠেকাতে যানবাহন কেনার পেছনে। এরমধ্যে আর্মাড ভেহিক্যাল কেনা হবে ১২টি, এসকর্ট ভেহিক্যাল ২০টি এবং ফ্লাডলাইট ভেহিক্যাল পাঁচটি। এগুলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জাপান থেকে সংগ্রহ করছে পুলিশ।
ইতোমধ্যে অর্থ ছাড়ের অনুমোদন হয়ে গেছে বলে জানান পুলিশ সদর দফতরের উন্নয়ন বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি গাজী মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, পুলিশের সক্ষমতা বাড়ানোর অংশ হিসেবে ডিএমপির জন্য জাপান থেকে এসব যান ও সরঞ্জাম আনা হচ্ছে। এগুলো বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে রয়েছে। অর্থ ছাড় হয়ে গেলেই সেগুলো সেখান থেকে নিয়ে আসা হবে শিগগির।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়। এর অংশ হিসেবে সন্ত্রাসবাদ ও ধর্মীয় উগ্রতা মোকাবিলায় ঢাকাসহ সারা দেশের সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিটের অবকাঠামো উন্নয়নসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি কেনা প্রয়োজন হয়ে পড়ে। সে কারণেই এসব কেনা হচ্ছে।
গত কয়েক দিনে পুলিশের একাধিক অনুষ্ঠানে আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয় সেই বিষয়ে পুলিশের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। আগামী দিনেও যেকোনও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশের প্রস্তুতি রয়েছে। একইসঙ্গে পুলিশের সার্বিক সক্ষমতা বাড়াতে অনেক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন হয়ে যাবে। সূত্র : বাংলাট্রিবিউন